হাজীগঞ্জে মসজিদ নির্মাণ কাজে বাঁধা, হামলায় আহত ৪


হাজীগঞ্জ ব্যুরো
হাজীগঞ্জে আদালতের রায়কে অমান্য করে মসজিদে গাউছুল আজম জিলানী নামের একটি মসজিদ নির্মাণ কাজে বাঁধা সৃষ্টি এবং বিবাদীদের অতর্কিত হামলায় মসজিদের মোতওয়াল্লী ও বদরপুর দরবারের প্রতিষ্ঠাতা শায়েখ মাও. আবু সুফিয়ান খান আবেদী আল কাদেরীরসহ চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সকালে পৌরসভাধীন বদরপুর (টোরাগড়) দরবার শরীফ কমপ্লেক্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনেন এবং ঘটনাস্থল থেকে আরিফ হোসেন নামের একজনকে আটক করে পুলিশ।
গুরুতর আহত মাও. আবু সুফিয়ান খানকে (৫৫) কে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় রেফার করা হয়েছে। অপর গুরুতর আহত নির্মাণ কাজের রাজমিস্ত্রি শাহিদুর রহমান (২৭), এমএএস কাদেরীয়া চিশতীয়া হোসাইনীয়া সুন্নীয়া দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক ও মসজিদের সাবেক ইমাম আ. সাত্তার মৃধা (৬০) এবং মাদরাসার ছাত্র দিদার হোসেন (১৬) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন মাও. আবু সুফিয়ান খানের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ।
জানা গেছে, মসজিদ নির্মাণ কাজে বাঁধা সৃষ্টি করায় মাও. আবু সুফিয়ান খান আবেদী আল কাদেরী ওই এলাকার শাহিনুর (শাহিন) ও সিরাজুল ইসলামসহ ১৭ জনকে বিবাদী করে হাজীগঞ্জ সহকারী জজ আদালতে একটি অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দেওয়ানী মামলা (নং-১১৭/২০১৯) করেন। গত ১৫ জুলাই সকল বিবাদীদের বিরুদ্ধে দোতরফা সূত্রে মঞ্জুর এবং মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বিবাদীদের নালিশী ভূমি হতে বে-দখল বারিত করা মর্মে একটি আদেশ জারি করে আদালত।
উল্লেখিত আদেশ জারির পর গত ২৮ জুলাই আবারো মসজিদ নির্মাণ কাজ শুরু করা হলে বিবাদীরা বাঁধা প্রদান করেন। এরপর গত ৩০ জুলাই পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন মাও. আবু সুফিয়ান। আবেদনের পর গত ১ আগস্ট নির্মাণ কাজ শুরু করলে আবারো বাঁধা প্রদান করেন বিবাদীরা। বিষয়টি থানায় জানানো হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে একজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ চলে আসার পর বিবাদী সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল আমিনসহ অন্য বিবাদীরা মাও. আবু সুফিয়ানসহ রাজমিস্ত্রি এবং মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে মাও. আবু সুফিয়ানসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বিবাদীরা পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মাও. আবু সুফিয়ান খান আবেদী আল কাদেরী বলেন, আদালতের রায়কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিবাদীরা নিষেধাজ্ঞা দেয়া ভূমিতে হামলা চালায় এবং মসজিদ নির্মাণ কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নিবেন বলে তিনি জানান। এদিকে বিবাদী সিরাজুল ইসলাম ও নুরুল আমিনকে ঘটনাস্থলে না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মোশারফ হোসেন জানান, এ ঘটনায় আরিফ হোসেন নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। পরবর্তীতে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

৩ আগস্ট, ২০১৯।