হাজীগঞ্জে ৪০ কেজি ওজনের গুইসাপ লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে অবমুক্ত

  • কুমির ভেবে আতঙ্কিত মানুষজন

  • মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
    হাজীগঞ্জে ৪০ কেজি ওজনের বিশালাকৃতির গুইসাপটি কুমিল্লার লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়েছে। উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে শনিবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে গুইসাপটি অবমুক্ত করা হয়। এর আগে শুক্রবার পৌরসভাধীন মকিমাবাদ এলাকার চৌধুরী বাড়ি থেকে গুইসাপটি উদ্ধার করা হয়।
    জানা গেছে, শুক্রবার সকালে ওই বাড়ির নির্মাণকৃত একটি বসতঘরের জন্য মাটি খুঁড়তে গিয়ে বিশালাকৃতির এই গুইসাপটি দেখতে পান শ্রমিকরা। এসময় কুমির ভেবে শ্রমিকসহ ওই বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে ওই বাড়িতে কয়েক শতাধিক মানুষের ভীড় জমে।
    পরে দিনব্যাপী উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার মাঝে স্থানীয়রা জালের ফাঁদ পেতে গুইসাপটিকে ধরে উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয়ে খবর দেয়। এরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বন কর্মকতা ঢাকা বন্যপ্রাণি ইউনিটকে খবর দিলে তারা এসে বিলুপ্তিপ্রায় গুইসাপটি উদ্ধার করে কুমিল্লার কোটবাড়ি লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে অবমুক্ত করে দেন।
    উপজেলা বন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারকৃত গুইসাপটি লম্বায় ৮ ফুট এবং ওজনে ৪০ কেজি। তবে প্রাথমিকভাবে গুইসাপটির বয়স নির্ধারণ করা যায়নি। গুইসাপ উপকারী প্রাণি। এটি বাড়ির আঙিনায়, কৃষি ক্ষেত, বনজঙ্গল ও জলাভূমিতে বিচরণ করে এবং ইঁদুর, সাপ, ব্যাঙ ও পোকামাকাড় ইত্যাদি খেয়ে থাকে।
    এ বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা মো. তাজুল ইসলাম জানান, গুইসাপ মানুষের কোন ক্ষতি করে না। কিন্তু স্থানীয়রা আতঙ্কিত হয়ে পড়ায় গুইসাপটি উদ্ধার করে লালমাই উদ্ভিদ উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়।
    তিনি বলেন, ওখানে আরো গুইসাপ থাকতে পারে। তাই স্থানীয়দের বলা হয়েছে, আবারো যদি গুইসাপ দেখতে পায়, তাহলে প্রাণিটিকে যেন তারা না মারে। এসময় তিনি জানান, নিরাপদ আবাসস্থলের অভাবে প্রাণিটি এখন আর গ্রামাঞ্চলে খুব একটা দেখা যায় না। ওই বাড়ির পাশে কিছুটা নিরাপদ পরিবেশ থাকায় প্রাণিটি এখানে দীর্ঘদিন বেঁচে ছিল।
  • ২৯ জানুয়ারি, ২০২৩।