জুমআতুল বিদা, শবে কদর ও ঈদের জামাত আয়োজনে
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
পবিত্র রমজান মাসের শেষ জুমা বা জুমাতুল বিদা, শবে কদর ও এবং ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ব্যাপক আয়োজন ও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ। আজ শুক্রবার এ জুমআতুল বিদা অনুষ্ঠিত হবে। এ জুমআতুল বিদা’র নামাজে উপজেলা ও জেলাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশগ্রহণ করে থাকেন। যার ফলে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হয় হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদ কর্তৃপক্ষকে।
জুমআর নামাজকে গরিবের হজ বলে আখ্যায়িত করা হয়। আর পবিত্র রমজানের মাসের শেষ শুক্রবারে অনুষ্ঠিত জুমআর নামাজকে জুমআতুল বিদা বলা হয়। এ নামাজে ধর্ম-প্রাণ মুসল্লিদের স্বাচ্ছন্দে অংশগ্রহণের জন্য প্রতিবছরের মতো এবারো জেলার সর্ববৃহৎ, প্রাচীন ও ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদের পক্ষ থেকে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমআতুল বিদা’র দিনে সকাল ১০টা থেকে জেলার বিভিন্নœ উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, ছাত্রসহ অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি মসজিদে সমবেত হন।
মুসল্লিদের সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নামাজ আদায় করতে মসজিদ কমপ্লেক্সসহ সড়কে প্রয়োজনীয় কাপড়ের দস্তর বিছানোর ব্যবস্থা রাখা হবে। মসজিদ কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাগ্রহণে আন্তরিক রযেছেন মসজিদ কমিটি। এছাড়া পবিত্র শবে কদর ও ঈদুল ফিতরের নামাজের জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ। ঈদুল ফিতরের দু’টো জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত ঈদের দিন সকাল ৮ টায় ও দ্বিতীয় জামাত সকাল ১০ টায় অনুষ্ঠিত হবে।
ঐতিহাসিক হাজীগঞ্জ বড় মসজিদে বিশেষ ব্যবস্থ গ্রহণ সম্পর্কে মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির মোতোয়াল্লি অধ্যক্ষ ড. মো. আলমগীর কবির পাটোয়ারী জানান, মুসলিম উম্মার জন্যে এ দিনটি (জুমাতুল বিদা) অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। প্রতিবছরের মতো এবারো জুমাতুল বিদা পালনে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই মধ্যে সংশিষ্ট সবার দায়িত্ব বন্টন করা হয়েছে। মুসল্লিদের সুবিধার্থে ও ক্রমাগত সংখ্যা বৃদ্ধিতে নতুন নতুন ব্যবস্থা ও প্রাসঙ্গিক সকল সুবিধা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভা, উপজেলা প্রশাসন, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১, হাজীগঞ্জ থানা ও ট্রাফিক পুলিশ, হাজীগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতি এবং ব্যবসায়ীসহ এলাকার লোকজন সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন।
হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় জামে মসজিদের ব্যবস্থাপক মো. শাহআলম বুধবার বলেন, ‘দিন দিন মুসল্লিদের সংখ্যা বৃদ্ধিতে ও বর্তমান আবহাওয়ার কথা চিন্তা করে মসজিদ কমপ্লেক্সের পাশাপাশি হাজীগঞ্জ টাওয়ার মার্কেট, রজনীগন্ধ্যা মার্কেট, কাওমী মাদরাসা ও মার্কেট, আলীয়া মাদরাসা ও প্লাাজা মার্কেটে নামাজ আদায়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিশেষ ট্রাফিক ব্যবস্থা, আইন-শৃংখলা রক্ষায় পুলিশ ও প্রায় ৩ শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক থাকবে। মসজিদ এরিয়া ছাড়া হাজীগঞ্জ বাজার রোডে বিভিন্ন সুবিধাজনক স্থানে বিশেষ ওজুর ব্যবস্থা রাখা হবে বলে তিনি জানান। বর্তমানে শতাধিক এতেকাফ অংশগ্রহণকারীর বিভিন্ন প্রকার সেবা প্রদানে মসজিদ কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। নামাজ পড়াবেন মসজিদের খতিব ও পেশ ইমাম মুফতি আবদুর রউফ।