ব্যক্তি মুজিবকে নয়, স্বাধীনতার মূল চেতনাকে হত্যা
……মেজর অব. রফিকুল ইসলাম এমপি
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে হাজীগঞ্জে পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শোকসভা, মিলাদ, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ১৫ আগস্ট বিকেলে অনুষ্ঠিত শোকসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে ব্যক্তি মুজিবকে নয়, স্বাধীনতার মূল চেতনাকে হত্যা করতে চেয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধীরা। তাদের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আগেই শুরু হয়। যার নেতৃত্বে ছিলেন খন্দকার মোস্তাক। তার সহযোগী ছিলেন- মাহবুব আলম চাষী, তাহের উদ্দিন ঠাকুরসহ আরো অনেকে। যাদের সহায়তা করেছিলো পাকিস্তানসহ দেশি-বিদেশী কয়েকটি সংস্থা।
তিনি আরো বলেন, এ বিষয়টি বঙ্গবন্ধুকে জানানো হলে তিনি জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে জানান। কিন্তু জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলো ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। এর কারণও রয়েছে। তা হলো- তৎকালীন সময়ে গোয়েন্দা সংস্থা যারা পরিচালনা করেছেন তারা কেউ’ই মুুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ছিলেন না। হয়তো এখানেই তৎকালীন সরকারের ব্যর্থতা ছিলো। যার ফলে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হলো। তারা এতোটাই নৃশংস ছিল যে, বঙ্গবন্ধুর ৮ বছরের শিশু সন্তান শেখ রাসেলকে হত্যা করতে দ্বিধাবোধ করেনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি ২১ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিল। এ সময়ে তারা মুক্তিযুুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল ইতিহাসকে বিকৃত করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় যারা জড়িত ছিল, তাদের এবং মুক্তিযুুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধীদের পূনর্বাসিত করেছে মোস্তাকসহ পরবর্তী সরকার। কিন্তু সবশেষে তারা সফল হতে পারেনি। দেশের জনগণ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যার উপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে। যার ফলে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আবারো পূনর্জীবিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। যা স্বপ্ন নয়, বাস্তব।
মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা বিরোধীরা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না উল্লেখ করে মেজর রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম বলেন, তারা পাপের প্রাশ্চিত্য ভোগ করছে। দেশের জনগণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। সুুতরাং তাদের ভবিষ্যৎ নেই। বাংলার জমিনে তারা আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এ সময় তিনি হাজিগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন।
পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুর রশিদ মজুমদার, উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী মাইনুদ্দীন ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ রোটা. আহসান হাবিব অরুন। বক্তব্য শেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।
পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ সৈয়দ আহমদ খসরুর পরিচালনায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হারুন অর রশিদ মুন্সি, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক মুরাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মির্জা শিউলি পারভীন মিলি, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কাজী আনোয়ারুল হক হেলাল, হাজি সেলিম, যুগ্ম-সম্পাদক আবদুর রহমান মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক হাজি জসিম, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজি কবির কাজী মনিরুজ্জামান মিঠু, সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্যাহ মৃধা, শামছুজ্জামান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী বিল্লাল হোসেন, পৌর যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহাগ আহমেদ মাইনু, পৌর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফেরদৌস আকতার, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাসুদ ইকবাল, যুগ্ম-আহ্বায়ক জাকির হোসেন সোহেল, পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক হায়দার পারভেজ সুজন, যুগ্ম-আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন জনি, রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম মানিক, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবায়েদুর রহমান খোকন বলি, সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুফ গাজী মোহন প্রমুখ।
২১ আগস্ট, ২০১৯।