সাগর চৌধুরী, সৌদি আরব থেকে
সৌদি আরবে শুভেচ্ছা সফর করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। গত রবিবার রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের নবনির্মিত ভবন পরিদর্শনকালে সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদকে স্বাগত জানান। সাথে দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সেনাপ্রধান একই দিন সৌদি আরবের যৌথ বাহিনীর প্রধান ফায়াদ আল রুয়ায়লির সাথে বৈঠক করেন। এ সময় তিনি দু’দেশের বিভিন্ন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া তিনি সৌদি আরবের সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আবদুল্লাহ আল-আয়েশের সাথে রিয়াদে এক বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে সফর সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন ।
সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের সামরিক সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি প্রস্তুত করা হয়েছে। চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর ১৭শ’ থেকে ১৮শ’ সেনা সদস্য মাইন অপসারণ কাজে নিয়োজিত হবে। যা সৌদি আরব ও বাংলাদেশের সামরিক সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
উভয় বৈঠকে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের যাদের অবকাঠামো নির্মাণের অভিজ্ঞতা রয়েছে তাদের সৌদি আরবের সীমান্তবর্তী এলাকায় বিভিন্ন সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ কাজে নিয়োজিত করার প্রস্তাব দেন। এছাড়া সেনাবাহিনীর অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সৌদি আরবের বিভিন্ন প্রতিরক্ষা খাতে নিয়োগের প্রস্তাব দেন।
এছাড়া ইসলামিক মিলিটারী কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশনে বাংলাদেশ থেকে একজন বিগ্রেডিয়ার জেনারেলসহ ৪ জন কর্মকর্তার প্রয়োজন রয়েছে। ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের নাম দেয়া হয়েছে। এই কোয়ালিশনের সাথে বিশেষ করে কাউন্টার টেরোরিজম কোয়ালিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে সৌদি আরবের আর্মড ফোর্সেসের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করবে। তাদের এই সফরে দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।
সেনাপ্রধান সৌদি আরবের সামরিক কর্মকর্তাদের বাংলাদেশে প্রশিক্ষণ গ্রহণের কথা তুলে ধরে বলেন, সৌদি আরবের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা বাংলাদেশে মিলিটারি একাডেমী, ডিফেন্স কলেজ ও ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড ও স্টাফ কলেজে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে। অনুরুপভাবে বাংলাদেশের সামরিক কর্মকর্তারা ও সৌদি আরবে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে ইচ্ছুক। বাংলাদেশের সাথে সৌদি আরবের চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভবিষ্যতে প্রতিরক্ষা খাতে এ সম্পর্ক আরও জোরদার হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ, ডেপুটি চীফ অফ মিশন ডক্টর মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ডিফেন্স এটাচে বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ শাহ আলম চৌধুরীসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধানের ৯ ফেব্রুয়ারি দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
- Home
- প্রথম পাতা
- ১৪ ফেব্রুয়ারি সৌদি আরবের সাথে প্রতিরক্ষা সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবার সম্ভাবনা : সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ
Post navigation
