১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ফরিদগঞ্জে একুশে বই মেলা শুরু

নতুন লেখক, সাহিত্য প্রেমী, পাঠক ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে এই মেলা
—————–ইউএনও আলী আফরোজ

ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী আফরোজ বলেন, গ্রাম-গঞ্জে পাঠক তথা শিক্ষার্থীদের বই পড়ার সুযোগ করে দেয়ার জন্য সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিৎ। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পড়াশুনায় আগ্রহী করে তুলতে না পারলে তারে প্রকৃত শিক্ষা থেকে ছিটকে পড়বে। এক সময় পুরো জাতি মেধাশুন্য হয়ে পড়বে। একই সাথে শিক্ষার্থী ও যুব সমাজকে বই পড়ায় আগ্রহী করে তুলতে পারলে তারা আর অবক্ষয়ের পথে যাবে না। আমাদের অনেক পাঠক বইয়ের তৃষ্ণা মেটাতে ঢাকার একুশে বই মেলায় ছুটে যায়। কিন্তু এটি সবার পক্ষে সম্ভব হয় না। তাই স্বল্প পরিসরে উপজেলা সদরে যদি একটি বই মেলা আয়োজিত হয়, তবে গ্রামে ছড়িয়ে থাকা নতুন লেখক, সাহিত্য প্রেমী, পাঠক এবং সর্বোপরি শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে। সেই উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে ফরিদগঞ্জে বই মেলা আয়োজন। গত সোমবার মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও বই মেলার প্রস্তুতি সভায় তিনি তার বক্তব্যে এই কথা বলেন।
এদিকে দীর্ঘদিনের জড়তা ভেঙে অবশেষে ফরিদগঞ্জে আগামি ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ দিনব্যাপি অমর একুশে বই মেলা শুরু হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আলী আফরোজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বেশ কয়েকজন সংবাদকর্মী এবং পুস্তক বিক্রেতা সমিতির সহযোগিতায় উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই বই মেলার আয়োজন হচ্ছে। আগামি ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে এর সমাপ্তি হবে।
ওই সভায় ভাষা শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের ব্যাপক সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জানানো হয়, প্রতিদিন মেলা দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে। মেলাকে আকর্ষণীয় করতে এবং সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রেমীদের উদ্বুদ্ধ করতে মেলা প্রাঙ্গণ তথা শহীদ মিনারের প্যান্ডেলে প্রতিদিন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানগুলো অংশগ্রহণ করবে।
মেলাকে সাফল্যমন্ডিত করতে এবং ভালভাবে আয়োজনের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) মমতা আফরিনকে আহ্বায়ক করে একটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। মেলায় শিক্ষার্থীরা যাতে বই পড়া ও দেখার সুবিধা পায় তাই প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয় সভা থেকে।