২ শিক্ষকের ৪ মাস বেতন বন্ধ, মানবেতর জীবনযাপন

বপুর এমআর ইসলামিয়া মাদ্রাসা ভারপ্রাপ্ত সুপারের কান্ড
নোমান হোসনে আখন্দ/ইউছুপ আলী :
শাহরাস্তির যাদবপুর এমআর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে তার তৈরি করা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করায় ২ শিক্ষকের ৪ মাসের বেতন বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ২ শিক্ষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। বর্তমানে ওই ২ শিক্ষক মানবেতর জীবন-যাপন করছে। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. বিল্লাল হোসেনের বিরুদ্ধে সংসদ সদস্যের বিশেষ বরাদ্দকৃত ৪০ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সদ্য দাখিল পরীক্ষার ফরম পূরণে বোর্ডের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক এবতেদায়ী শাখার প্রধান মো. আবুল বাশার পাটোয়ারী ও সহকারী মৌলভী মো. মোশারফ হোসেন জানান, ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. বিল্লাল হোসেন চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে হঠাৎ করেই আগের হাজিরা খাতা বাদ দিয়ে অসৎ উদ্দেশে নতুন হাজিরা খাতা তৈরি করেন। উল্লেখিত হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর না করে আগের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করায় আমাদের আগস্ট মাস থেকে বেতন-ভাতাদি বন্ধ রেখেছেন। বর্তমানে আমরা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতরভাবে জীবন-যাপন করছি।
অভিবাবক ও শিক্ষকরা জানান, ভারপ্রাপ্ত সুপার বিল্লাল হোসেন একজন বিপিএড শিক্ষক, তিনি ভারপ্রাপ্ত সুপারের যোগ্য নন। অদক্ষ হওয়ায় নিজের মনগড়া, খেয়াল-খুশিমত এ প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করছেন। এমপির বিশেষ বরাদ্দের টাকা ও দাখিলের ফরম পূরণের টাকাসহ মাদ্রাসার কোন আয়-ব্যয়ের তিনি দিচ্ছেন না। সভাপতি আবুল হোসেনের যোগসাজশে মাদ্রাসার সুপার মুজিবুল হক এ ভারপ্রাপ্ত অদক্ষ সুপারকে দায়িত্ব দিয়ে রাখা হয়েছে। আমরা অতিদ্রুত এ ভারপ্রাপ্ত সুপারকে অপসারণ করে সুপারকে তার দায়িত্বে স্বপদে বহাল রাখার দাবি জানাই।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. বিল্লাল হোসেন জানান, আমি যতদিন দায়িত্বে আছি আমার ইচ্ছেমতই এ প্রতিষ্ঠান চলবে। দায়িত্ব ছেড়ে দিলে সব হিসাব-নিকাশ বুঝিয়ে দেবো। মাদ্রাসায় আসলে লাভ হবে না, আমার তৈরি করা হাজিরা খাতায় তাদের স্বাক্ষর করতে হবে। এ বিষয়ে আপনারা যা পারেন লেখেন।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহছান উল্যাহ চৌধুরী জানান, উল্লেখিত বিষয়ে অভিযোগগুলো আমরা জেনেছি। ভুক্তভোগী ২ শিক্ষক নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেছেন, যার প্রেক্ষিতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে উল্লেখিত বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে।