৬ হাজার ওমরাহ পালনকারীর সেবায় ১ হাজার কর্মী

সাগর চৌধুরী
মক্কা মসজিদুল হারামে ৬ হাজার ওমরাহ পালনকারীর সেবায় ১ হাজার কর্মী বাহিনী কাজ করছে। সৌদি হজ ও ওমরাহ উপমন্ত্রী ডা. আব্দুল ফাত্তাহ বিন সুলায়মান মাশাত বলেছেন, পূণরায় ওমরাহ চালুর সিদ্ধান্তে সৌদি আরব ও বিশ্বের মুসলমানরা অনেক খুশি হয়েছেন। তিনি বলেন, হজ ও ওমরাহ পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত সব কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে এই পরিকল্পনাটি তৈরি করা হয়েছে এবং হজ ও ওমরাহ সম্পর্কিত সব কর্তৃপক্ষ পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা ও সমন্বয় করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটমারনা’ এ্যাপস্’র মাধ্যমে ওমরাহ পালনকারীদের নিবন্ধনের পাশাপাশি পার্কিং এলাকা থেকে হারামের গেটের কাছে পৌঁছে দিতে বাসের বুকিং দেয়ার সুবিধা রয়েছে। খুব শীঘ্রই একই এ্যাপস্ েহোটেল বুকিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে।
সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আব্দুল আজিজ থেকে শুরু করে হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের যে সেবা দিয়ে আসছে তা বরাবরই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে করা হবে। উপমন্ত্রী বলেন, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয় ওমরাহ যাত্রীদের একটি সুন্দর এবং স্মরণীয় ভ্রমণ নিশ্চিত করতে সব পরিষেবার উন্নতি করে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে।
মক্কার স্বাস্থ্য বিষয়ক মহাপরিচালক ডা. ওয়াইল হামজা মোতাইর বলেছেন, সমন্বয় কমিটিগুলোর পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে কেন্দ্রিয়ভাবে ওমরাহ যাত্রীদের গ্রহণের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত ছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। ডা. মুতাইর বলেছেন যাত্রীদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব পরিলক্ষিত হচ্ছে এবং গ্র্যান্ড মসজিদের আশেপাশের কেন্দ্রিয় অঞ্চলের নিকটবর্তী সব হাসপাতাল কর্তৃক যে কোন জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের জন্য। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৬ হাজার মুসল্লিদের ওমরাহ পালনের সুযোগ দিচ্ছে সৌদি আরব।
পূণরায় ওমরাহ চালু করার প্রথম পর্যায়ে কেবলমাত্র সৌদি নাগরিক ও সে দেশে বসবাসকারীরা এ সুযোগ পাবেন। প্রত্যেক দর্শনার্থীকে তিন ঘণ্টার মধ্যে ওমরাহর যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে হবে। ওমরাহ চলাকালে পবিত্র নগরী মক্কার কাবা শরীফের পুরো আঙিনা প্রতিদিন কয়েকবার জীবাণুমুক্ত করা হবে।
কাবা চত্বরে যাওয়ার আগে প্রত্যেক ওমরাহ পালনকারীকে নির্দিষ্ট সময় ও তারিখে তা পালনের জন্য সামাজিক দূরত্ব ও ভিড় এড়িয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। ‘এটমারনা’ এ নিবন্ধনের আগে ‘তাওয়াক্কালনা’ এ্যাপস্ েনিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
তিনটি ধাপে ওমরাহর কার্যক্রম চালু হবে। প্রথম ধাপে শুধু সৌদি আরবের স্থানীয়রা ৪ অক্টোবর থেকে এতে অংশ নিতে পারছেন। প্রথম অবস্থায় ওমরাহয় মোট ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৩০ শতাংশ অর্থাৎ একদিনে ছয় হাজার জনকে পবিত্র মসজিদুল হারামে ঢোকার সুযোগ দেয়া হবে।
দ্বিতীয় ধাপে ১৮ অক্টোবর থেকে একদিনে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার জন ওমরাহ করতে পারবে। এই সময়ে একসঙ্গে ৪০ হাজার মুসল্লি পবিত্র মসজিদুল হারামে ঢুকতে পারবেন। যা সম্মিলিতভাবে মোট ধারণ ক্ষমতার ৭৫ শতাংশ।
তৃতীয় ধাপে ১ নভেম্বর থেকে সৌদি আরবে অবস্থান করা এবং বাইরে থেকেও হজ ও ইবাদতের উদ্দেশে সব মুসলিমকে মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেয়া হবে। সে সময় প্রতিদিন ২০ হাজার জন ওমরাহ হাজি এবং ৬০ হাজার ইবাদতকারীকে মসজিদুল হারামে ঢুকতে দেয়া হবে, যা মোট ধারণ ক্ষমতার সমান।
৭ অক্টোবর, ২০২০।