ফরিদগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রী হত্যায় স্বামী আমানত শাহ আটক

 

লো আপ————–

নারায়ন রবিদাস
ফরিদগঞ্জে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগে ফরিদগঞ্জ থানায় দায়েকৃত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামি নিহত উম্মে কুলছুমা আঁখির স্বামী আমানত শাহকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাজিগঞ্জ বাজার থেকে তাকে আটক করে রাত ৮টায় ফরিদগঞ্জ থানায় নিয়ে আসে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী মো. জাকারিয়া।
এর আগে শনিবার রাতে হত্যার ঘটনার পর রোববার রাতে নিহত গৃহবধূ উম্মে কুলছুমা আঁখির ভাই শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে আঁখির স্বামী আমানত শাহকে প্রধান আসামি ও তার ভাই নুরে আলম, ভাবী শিউলী বেগম ও শাশুড়ি আসুয়া বেগমকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের (নং -১০। তাং- ৫.৫.২০১৯) করে। মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কাজী জাকারিয়া কৌশলে হাজীগঞ্জ বাজার থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের ফনিশাইর গ্রামের বড় সর্দার বাড়ির গোলাম সারওয়ারের মেয়ে উম্মে কুলছুমা আঁখির সাথে পারিবারিক সম্মতিতে শাহারাস্তি উপজেলার উয়ারুক গ্রামের আজকারি মাইজের বাড়ির মৃত সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে আমানত শাহের সাথে বিয়ে হয়।
আঁখির ভাই ও মামলার বাদী শাহাদাত হোসেন গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, বিয়ের কিছুদিন পর হতেই যৌতুকের জন্য আঁখির সাথে তার স্বামী ও তার পরিবারের বিরোধের সৃষ্টি হয়। এই জন্য কিছুদিন পুর্বে আঁখি তার বাপের বাড়ি ফরিদগঞ্জের ফনিশাইর গ্রামে চলে আসে। এর পর গত ৪ মে শনিবার তার স্বামী আমানত আঁখিদের বাড়িতে আসে। ওই রাতে আঁখি ও তার স্বামীর সাথে ঝগড়ার একপর্যায়ে আঁখিকে হত্যা করে বসতঘরের আড়ার সাথে আখিঁর লাশ ঝুলিয়ে দিয়ে সে পালিয়ে যায়।
ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ পরদিন লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম সম্পন্ন করার পর তার লাশ দাফন করা হয়।