হাজীগঞ্জে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানি না করার অনুরোধ

 

উপজেলা ও পৌর বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
গত মঙ্গলবার হাজীগঞ্জে ছাত্রদলের নামে পুলিশের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার সাথে উপজেলা ও পৌর বিএনপি বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয় বলে সংবাদ সমম্মেলনে দাবি করেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এম.এ রহিম পাটওয়ারী। তাই এ ঘটনায় বিএনপি বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোন নেতা-কর্মীকে হয়রানি না করা জন্য পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।
গত বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রিয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জি. মমিনুল হকের বাগান বাড়িতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে এম. এ রহিম পাটওয়ারী বলেন, গত মঙ্গলবার (১২ জানুয়ারি) কেন্দ্রিয় ছাত্রদল ঘোষিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথা মামলা ও গ্রেপ্তারি পরোয়ানার প্রতিবাদে উপজেলা ও পৌর ছাত্রদল শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে।
তিনি বলেন, সরকারি দলের মদদে একই দিন বিকালে হাজীগঞ্জ উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নামে ড. মো. আলমগীর কবির পাটোয়ারীর ব্যানারে একদল উশৃঙ্খল লোক মিছিলের নামে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এই ঘটনায় উপজেলা ও পৌল বিএনপি বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়।
এম. এ রহিম পাটওয়ারী আরো বলেন, আগামি ৩০ জানুয়ারি হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চুর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তাই তাঁর নির্বাচনে ক্ষতি এবং বিএনপির রাজনীতিতে কোন্দল সৃষ্টির জন্য গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তার অংশ হিসেবে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমাদানে ড. আলমগীর কবির পাটোয়ারীর নেতৃত্বে কতিপয় উশৃঙ্খল লোক বাঁধা সৃষ্টি করে।
কে এই আলমগীর কবির পাটোয়ারী উল্লেখ করে তিনি বলেন, আলমগীর কবির পাটোয়ারী বর্তমানে জেলা আওয়ামী শিক্ষক-কর্মচারী সমিতির (কাজী ফারুক পরিষদ) সভাপতি। তিনি বিএনপির কোন সংগঠনের সদস্য নন। এমনকি তার সাথে বিএনপির কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮ এবং ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের নির্বাচন করেছেন।
এছাড়া ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত হাজীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার নির্বাচন করেন আলমগীর কবির পাটোয়ারী। ২০১৪ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি নিজে প্রার্থী হয়ে জামানাত হারিয়েছেন এবং বিএনপির প্রার্থী অধ্যক্ষ মাও. নজরুল ইসলামের পরাজয়ে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেন। ওইদিনের ঘটনায়ও (১২ জানুয়ারি) বিএনপি বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম পাটওয়ারী ও পৌর বিএনপির সভাপতি নাজমুল আলম চৌধুরীর স্বাক্ষরিত লিখিত সংবাদ সম্মলনে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ধানের শীষের প্রার্থী আলহাজ আব্দুল মান্নান খাঁন বাচ্চুর নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে আগামি ৩০ জানুয়ারি ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে আনবে বলে উল্লেখ করা হয়।
এ সময় মৌখিক বক্তব্যে পৗর বিএনপির সভাপতি নাজমুল আলম চৌধুরী বলেন, মামলায় আমাকেসহ ১০৯ জনকে নামীয় ও ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। অথচ এই ঘটনার সাথে বিএনপি বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোন নেতাকর্মী জড়িত নয়। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, আমি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। অপর আসামি উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব কাজী জসিম গত ৩ মাস ধরে জেলে রয়েছেন। তাকেও আসামি করা হয়েছে।
তিনিসহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমএ রহিম পাটওয়ারী গত মঙ্গলবারের (১২ জানুয়ারি) ঘটনায় পুলিশের সংগ্রহকৃত ক্লোজ সার্কিক ক্যামেরার (সিসিটিভি) ফুটেজ দেখে এবং তদন্তপূর্বক দোষীদের খুঁেজ বের করে এনে শাস্তির দাবি জানান। সেই সাথে বিএনপি বা অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কোন নেতা-কর্মীকে হয়রানি না করা জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর (পুলিশ) প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
এ সময় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, যুগ্ম সম্পাদক আনিছুর সম্পাদক কানু, সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আকতার হোসেন দুলাল, দপ্তর সম্পাদক ইমাম হোসেন লিটন, পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক খোরশেদ আলম ভুট্টো, য্গ্মু সম্পাদক ও উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির সুমন, পৌর বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আজাদ কাশারীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
১৬ জানুয়ারি, ২০২১।