মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
হাজীগঞ্জে অজ্ঞাত উৎসের আগুনে একটি বসতঘরসহ ৩টি ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে উপজেলার রাজারগাঁও ইউনিয়নের দক্ষিণ-পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের পঞ্চায়েত বাড়িতে একটি বসতঘর ও একটি কাঁচারী ঘর এবং সদর ইউনিয়নের বাউড়া গ্রামের মিয়াজী বাড়ির পাশে সমাজসেবা অধিদপ্তরের স্বর্ণিভর নামক একটি পরিত্যক্ত ঘর পুড়ে যায়। আগুনে প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা দাবি করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী দক্ষিণ-পশ্চিম রাজারগাঁও গ্রামের সংবাদকর্মী আলমগীর হোসেন জানান, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাত কারণে পঞ্চায়েত বাড়ির কাঁচারী ঘরে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায় বাড়ির লোকজন। এরপর তাদের ডাক-চিৎকারে স্থানীয় ও এলাকাবাসী ছুটে আসে। কিন্তু আগুনের ভয়াবহতার কারণে কাঁচারী ঘরের কাছে কেউ যেতে পারেনি। এরপর কাঁচারী ঘরের পাশে মাহবুবদের বসতঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আধা ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততোক্ষণে কাঁচারী ঘর ও বসতঘর এবং ঘরে থাকা আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার, তৈজসপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত মাহবুব ওই বাড়ির মরহুম আবু তাহের মাওলানার ছেলে। এদিকে আগুন লাঘার বিষয়টি সন্দেহজনক বলে জানান বাড়ির লোকজন। কারণ, কাঁচারী ঘরে কেউ বসবাস করে না এবং সেখানে বিদ্যুৎ সংযোগও ছিলো না। অথচ কাঁচারি ঘর থেকেই অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত।
অপরদিকে একই দিনে (সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে বারোটা) হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাউড়া গ্রামের মিয়াজী বাড়ির পাশে সমাজসেবা অধিদপ্তরের স্বর্ণিভর নামক একটি পরিত্যক্ত ঘর পুড়ে যায়। এই ঘরটিও দীর্ঘদিন যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলো। এখানেও বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলো না। তবে এই পরিত্যক্ত ঘরটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মাদকবেসীদের দায়ী করেন স্থানীয় ও এলাকাবাসী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয়দের সেবা প্রদানে ১৯৮৬ সালে সমাজসেবা অধিদপ্তর স্বর্ণিভর নামক এই ঘরটি নির্মাণ করে। বেশ কয়েক বছর ঘরটিতে কার্যক্রম চললেও পরর্তীতে গত প্রায় ২০-২৫ বছর যাবৎ ঘরটি অব্যবহৃত ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. শাহদাত হোসেন জানান, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরবর্তীতে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের দুইটি স্থান আমরা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্ত ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলেছি। বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযোগ দিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৩ মার্চ, ২০২১।