স্টাফ রিপোর্টার
সারাদেশের মত চাঁদপুরেও শীতের তীব্রতায় সাধারণ মানুষ জুবুথুবু হয়ে গেছে। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষদের শীতের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু উল্টো চিত্র দেখা গেছে জেলা প্রশাসনের। আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে শীতবস্ত্র বিতরণ না করে নিম্নআয়ের মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে শীতবস্ত্র।
গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের দরজায় দরজায় গিয়ে নিজ হাতে শীতবস্ত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।
এসময় শহরের বেঁদে পল্লী, পুরাণবাজারের হরিসভা, রনাগোয়ালসহ আশপাশের এলাকায় জেলা প্রশাসক নিজে গিয়ে অসহায়দের শীতবস্ত্র হাতে তুলে দেন। অনেকেই এমন চিত্র দেখে হতবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। আবার অনেকেই জেলা প্রশাসকের প্রশংসা করতে লাগলেন।
এসময় কথা হয় উপকারভোগী একজন বৃদ্ধ মায়ের সাথে। তিনি বলেন, এমনভাবে কোন ডিসিকে শীতবস্ত্র নিয়ে মানুষের বাসায় যেতে দেখি নাই। এমনভাবে নিয়ে আসবে শীতবস্ত্র কখনো চিন্তাও করি নাই।
কথা হয় আরেক উপকারভোগী বৃদ্ধ মো. রহিমের সাথে। তিনি বলেন, ডিসি এমন করে শীতবস্ত্র দেয়াতে আমরা পেয়েছি, নতুবা টিকিট করে দিলে আমরা কখনো টিকিটও পেতাম না। এরকম করেই দেয়া উচিত, তাহলেই আমরা গরিবরা আমাদের ন্যায্যটা পাবো।
এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, সারাদেশেই শৈত্যপ্রবাহ চলছে। সরকারের পক্ষ থেকে আমরা শীতার্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্র রযেছে। আমরা ইতোমধ্যে প্রতিটা ইউনিয়ন পর্যায়েও শীতবস্ত্র বিতরণ করছি। তারই অংশ হিসেবে আজ আমরা শীতবস্ত্র নিয়ে অসহায় শীতার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, আমরা ইচ্ছা করলেই আনুষ্ঠানিকতা করে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম করতে পারতাম। কিন্তু আমার কাছে মনে হলো যেন আনুষ্ঠানিকতা না করে যদি নিজের হাতে অসহায়দের বাসায় এসে দিতে পারি তাহলেই হয়তো যার প্রয়োজন সে’ই পাবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোস্তাফিজুর রহমান, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আল ইমরান খান, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আসাদুজ্জামান সরকারসহ কর্মকর্তারা।
০৫ জানুয়ারি, ২০২৫।