মতলবে সুইপারদের দিন কাটছে খোলা আকাশের নিচে

মাহফুজ মল্লিক
মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদরের পূর্ব বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠাসহ সুইপারদের ৫টি ঘর। বসতঘরগুলো পুড়ে যাওয়ায় চরম সংকটে পড়েছেন স্থানীয় সুইপার জনগোষ্ঠীর অর্ধ শতাধিক মানুষ। আগুনে ঘরবাড়ি পুড়ে যাওয়ায় অনেকে রাত কাটাচ্ছেন খোলা আকাশের নিচে, আবার অনেকে মন্দির বা গির্জায়। সামান্য কিছু মালামাল ও আসবাবপত্র রক্ষা করতে পারলেও পুড়ে গেছে ঘরবাড়ি। ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় শেষ সম্বল হারানো নিম্নআয়ের এ মানুষগুলো।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের খাবার দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মতলব বাজার বণিক ও জনকল্যাণ সমিতি। সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মজিবুর রহমান বলেন, ‘আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটিকে আমদের সমিতির পক্ষ থেকে এবং আশেপাশের লোকজন তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পাশে থেকে সাহায্য-সহযোগিতা করেছেন।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত শংকর জানান, আমাদের বাসস্থানের জন্য যা ছিল সব পুড়ে গেছে, ঘরে আসবাবপত্র, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ছিল- সব পুড়ে গেছে। আমরা এখন কি যে খাব; খাওয়ার মতো আর কিছু নাই। ঘরের পুড়ে যাওয়া জিনিসপত্রগুলো দেখে দেখে নিয়ে এসে আজ খোলা আকাশে নিচে দিন-রাত কাটাচ্ছি। চিন্তায় ঘুমাতে পারি নাই।
তিনি আরো জানান, আমরা কিছুই রক্ষা করতে পারি নাই, ঘর পুড়ে গেছে মানে সব শেষ। পরনের বস্ত্র ছাড়া কিছুই ঘর থেকে বের করতে পারি নাই।
মতলব বাজার বণিক ও জনকল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল সরকার জানান, এখানে যেসব ঘরগুলো পুড়ে গেছে তারা সবাই নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ। একেকজনের, একেক রকম ক্ষতি হয়েছে। এখন একদম রাস্তায় থাকা ছাড়া আর তাদের কোনো উপায় নাই। সব শেষ হয়ে গেছে।
মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া প্রত্যেকটি পরিবারকে দ্রুত সময়ের মধ্যে আর্থিক সহায়তাসহ বাসস্থানের সব ব্যবস্থা করা হবে। যাতে তারা তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।
অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকদেরও সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন।

০৫ মার্চ, ২০২৫।