একটি শর্ত পূরণ করলেই ইসরাইলের বন্ধু হবে সৌদি আরব

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ইহুদি জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। ফাইল ছবি

ইসরাইলের সঙ্গে প্রকাশ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করার ইঙ্গিত দিয়েছে সৌদি আরব।  এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ।  তবে এর জন্য ইসরাইলকে মাত্র একটি শর্ত পূরণ করতে হবে।

ফয়সাল বিন ফারহান আল-সৌদ বলেছেন, যদি তার দেশের একটি মাত্র পূর্বশর্ত পূরণ হয়, তাহলেই তেল আবিবের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণভাবে সমর্থন করবে রিয়াদ। একটি স্থায়ী ও পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তি সইয়ের মধ্য দিয়ে যদি ফিলিস্তিনিদের জন্য মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা হয়, তবে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রতি পূর্ণ সমর্থন দেবে রিয়াদ সরকার।

শনিবার জি-২০ ভার্চুয়াল সম্মেলনের অবকাশে রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন।

গত দুই মাসের মধ্যে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার চুক্তি সই করে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও সুদান। এ ছাড়া আরও কিছু আরব রাষ্ট্র একই পথে হাঁটবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ চুক্তির প্রতি এর আগেও সমর্থন দিয়েছে রিয়াদ। সেইসঙ্গে আরব আমিরাত ও বাহরাইনের সঙ্গে ইসরাইলের বিমান চলাচলের জন্য আকাশসীমা উš§ুক্ত করে দিয়েছে সৌদি। এসব আরব দেশ ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলেও ফিলিস্তিনিরা কঠোর নিন্দা ও সমালোচনা করে আসছে।

একই সাক্ষাৎকারে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকারের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ফারহান আল-সৌদ।

তিনি বলেন, বাইডেনের নেতৃত্বে নতুন প্রশাসনের নীতি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সহায়তা করবে। তাদের সঙ্গে সৌদি আরবের যে কোনো আলোচনা হবে সহায়তামূলক। এ ব্যাপারে রিয়াদের আত্মবিশ্বাস রয়েছে।’

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে এমন একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্ক চাঙ্গা করার চেষ্টা করছে রিয়াদ নির্বাচনী প্রচারের সময় যিনি সৌদি আরবের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার অঙ্গীকার করেছিলেন।

প্রসঙ্গত, বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার ইহুদি জামাতা জ্যারেড কুশনারের সঙ্গে ব্যক্তিগত সুসম্পর্ক রয়েছে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের। ট্রাম্প-কুশনারের প্রচেষ্টাতেই ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে উদ্যোগী হয় মধ্যপ্রাচ্যে সৌদি প্রভাব বলয়ের একাধিক দেশ। সৌদি আরবও ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে বলে জানিয়েছিলেন ট্রাম্প। খাশোগি হত্যাকাণ্ডের জবাবদিহিতা থেকেও যুবরাজের সুরক্ষা নিশ্চিত করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।