কচুয়ায় অভিজ্ঞতার জাল সনদ দিয়ে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অভিযোগ


স্টাফ রিপোর্টার :
কচুয়ার শেখ মজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের শাহ আলম বিধি ভঙ, চাকরি বিরতিকাল গোপন করে জাল অভিজ্ঞতার কাগজপত্রের মাধ্যমে অধ্যক্ষ পদে অবৈধভাবে নিয়োগ লাভ এবং কলেজের সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই কলেজের ভূগোল বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ হাফিজুর রহমান মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কাছে এই অভিযোগ করেছেন। মন্ত্রণালয়ের কাছে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানান তিনি। অভিযোগের আলোকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা, কুমিল্লা অঞ্চলের শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক সরজমিনে তদন্ত করেন।
তদন্তের সারমর্মে উল্লেখ করা হয় মো. আবু তাহের শাহ আলম চাকরি পাওয়ার জন্য তার শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা ও চাকরির বিরতিকাল সম্পর্কিত তথ্য গোপন করে ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল অধ্যক্ষ হিসেবে কচুয়ার শেখ মজিবুর রগমান ডিগ্রি কলেজে নিয়োগে লাভ করেন। তদন্তে পরিলক্ষিত হয় ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার সরাইল আবদুস সাত্তার কলেজে থেকে কচুয়ার শেখ মজিবুর রহমান ডিগ্রি কলেজে যোগদান করার মধ্যবর্তী সময়কাল ২ বছর ৮ মাস ১২ দিন। এখানে আবু তহের শাহ আলমের চাকরির ধারাবাহিকতা (ইৎবধশ ড়ভ ংবৎারপব) বিঘিœত হয়েছে।
তাছাড়া সরাইল আবদুস সাত্তার কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি সংসদ সদস্য অ্যাড. মো. জিয়াউল হক মৃধার স্বাক্ষর জাল করে অভিজ্ঞতার প্রত্যয়ন জমা দিয়ে অসৎ উপায়ে চাকরি নিয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর অধ্যক্ষ শাহ আলম সিকদারকে ২১ নভেম্বর ৭ কর্মকর্ম দিবসের মধ্যে জনবল কাঠামো অনুচ্ছেদে ১৮.১ (গ) (ঘ) অনুযাযী কেন বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবেনা এই মর্মে কারণ দর্র্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়।
তাছাড়া অধ্যক্ষ শাহআলমের বিরুদ্ধে ভুয়া সনদ দিয়ে চাকুরিতে যোগ দিয়ে বেতন-ভাতা ভোগ করেছেন তা ফিরিয়ে দেবার দাবি করেছেন কলেজের প্রভাষক সৈয়দ হাফিজুর রহমান।
এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের শাহ আলম সিকদার বলেন, আমি কলেজের বাইরে আছি। কারণ দর্শানোর চিঠি দেখে বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জবাব দেবো।