
হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কে বেইলি ব্রীজের স্থলে
মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
জনদুর্ভোগ লাঘবে অবশেষে নির্মাণ হচ্ছে ঘনিয়া ব্রিজ। হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ সড়কের ১০ কিলোমিটারে অবস্থিত ঘনিয়া বেইলি ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এতে করে হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জ ও রামগঞ্জ উপজেলা তথা চাঁদপুর, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলাবাসীর দীর্ঘ দিনের দুর্ভোগের অবসান হচ্ছে। ইতোমধ্যে বেইলি ব্রিজটি অপসারণ এবং নতুন ব্রিজ নির্মাণের লক্ষ্যে মাটি কাটার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কে ৫টি বেইলি ব্রিজ ছিলো। এর মধ্যে ৪টি বেইলি ব্রিজের স্থলে কংক্রিটের ব্রিজ (কালভার্ট) নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ঘনিয়া ব্রিজটি না হওয়ায় দুর্ভোগের অন্তঃ ছিলো না দুই জেলাবাসীর। যার ফলে দীর্ঘদিন ব্রিজটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় পড়ে ছিলো। কয়েকদিন পর পর ব্রিজটির পাটাতন দেবে মারাত্মক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে এ অঞ্চলের মানুষের।
সবশেষে গত বর্ষায় এই ব্রিজটির পাটাতন দেবে মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়ে। এতে করে সড়কে সবধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে দুই জেলার লোকজনকে। পরবর্তীতে তড়িগড়ি করে বিকল্প পথ নির্মাণ করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয় এবং বেইলি ব্রিজের স্থলে নতুন ব্রিজ নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
স্থানীয়রা জানান, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বেইলী ব্রিজটি ছিল একটি মরণ ফাঁদ। বিকল্প পথ না থাকায়, দুই জেলার লোকজন বাধ্য হয়েই এই ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতো। তারা বলেন, এমন কোন মাস ছিল না, যে ব্রিজের পাটাতন দেবে যায়নি। তাই জোড়াতালি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাদের চলতে হয়েছে। অবশেষে নতুন ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় তারা আনন্দিত। এতে করে কয়েক যুগের ভোগান্তির অবসান হচ্ছে তাদের।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-কার্যালয় (হাজীগঞ্জ) সূত্রে জানা গেছে, পুরাতন বেইলি ব্রিজটি ভেঙ্গে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে ২০ মিটার দৈঘ্যের নতুন ব্রিজ নির্মাণ হচ্ছে। ১০ মাসের মধ্যে অর্থাৎ আগামি বছরের জুন মাসের মধ্যে ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ হলে ব্রিজটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।
সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে স্থানীয় আল-আমিন তুহিন নামের একজন জানান, আমাদের এই সড়কে (হাজীগঞ্জ-রামগঞ্জ) ৫টি বেইলি ব্রিজ ছিল। চারটি বেইলি ব্রিজের স্থলে কংক্রিটের ব্রিজ হয়ে গেছে। দেরিতে হলেও ঘনিয়া ব্রিজের কাজ শুরু হচ্ছে- তাই আমরা আনন্দিত। এতে দুই জেলার মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে।