চাঁদপুর ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ

চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নস্থ ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজের সম্প্রতি সময়ে বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে কলেজ প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে ভূমিকা নিয়ে কাজ করেছেন এমন ব্যাক্তিদের নাম। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হলেন বালিয়া ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রাজ্জাকুল হায়দার খান শিমু। ওইসব প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পরে বর্তমান সভাপতির প্রতিষ্ঠাতা পদ নিয়ে বিতর্ক সংক্রান্ত তথ্য পত্রিকায় প্রকাশ হয়। এসব বিষয়গুলো ঐতিহ্যবাহী খান পরিবারের নজরে আসে। যার কারণে পরিবারের পক্ষ থেকে পর পর দুইবার বিবৃতি প্রদান করা হয়।
ওইসব বিবৃতিতে কলেজের সম্পত্তি, প্রতিষ্ঠাতা হওয়ার যোগ্যতা, কলেজ প্রতিষ্ঠায় কার কার অবদান রয়েছে, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে। এসব বিষয়ে যিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দাবি করেন তাকে উদ্দেশ্যে করেই বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি নিজে কিভাবে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হলেন তা জনসম্মুখে তুলে ধরার সাহস না পেয়ে কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে সত্য কথাগুলোর ধামাচাপা দেয়ার হীন উদ্দেশ্যে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এবং আইনী ব্যবস্থা নেয়ার হুমকি দিচ্ছেন। যা এক প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রমের আওতায় পড়ে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের এভাবে ব্যবহার করা কোনভাবেই কাম্য নয়। কারণ তাদের কাজ হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা। আশা করি শিক্ষকরা সেই শ্রদ্ধার স্থানটুকু নষ্ট করবেন না। যার প্রসঙ্গে কথা তিনিই সাহস থাকলে জবাব দিবেন।
প্রকৃতপক্ষে সুজিত রায় নন্দী কলেজে হঠাৎ করে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে নিজেকে দাবি করা এবং কলেজের মূল ফটকে নাম সাঁটানোর পর থেকেই খান পরিবার প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এই বিষয়ে মরহুম রাজ্জাকুল হায়দার খান শিমুর পরিবার, তার সন্তান ও স্ত্রী কারো সাথেই কথা হয়নি। কলেজ কর্তৃপক্ষ আজ পর্যন্ত কোন ধরনের কথা বলেননি। স্থানীয় গণমাধ্যমে যথাযথ প্রমাণপত্র ও তথ্য পেয়ে খান পরিবারের বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। কলেজের শিক্ষক ও কর্মচারীদের এসব কাজে ব্যবহার না করার জন্য খান পরিবারের পক্ষ থেকে অনুরোধ রইল। অন্যথায় কলেজের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী সংশ্লিষ্ট সবার নাম তালিকাসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আইনী ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য আবেদন করা হবে।
পক্ষে: বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম রাজ্জাকুল হায়দার খান শিমু পরিবারের সদস্যবৃন্দ, ফরক্কাবাদ, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর।
২৯ নভেম্বর, ২০২০।