চাঁদপুরে দু’লঞ্চ ঘাটে ভিড়ানোকে কেন্দ্র করে ঘটতে পারে সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর লঞ্চঘাটে দু’লঞ্চের ঘাটে ভিড়ানোকে কেন্দ্র করে যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে সংঘর্ষ। গত ১৮ অক্টোবর লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায় প্রিন্স সোহাগ-৭ ও আব-এ-জমজম লঞ্চ ঘাটে ভিড়িয়ে যাত্রী ডাকাকে কেন্দ্র করে দু’লঞ্চের স্টাফদের সাথে চলে প্রতিযোগিতা। এতে যে কোন মুহূর্তে দু’লঞ্চের কর্মচারীদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হতে পারে।
বিষয়টি সেখানে উপস্থিত নৌ-টিআই মাহাতাব দেখেও না দেখার ভান করে থাকেন। রহস্যজনক কারণে টিআই মাহাতাব এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপও নেননি। নাম না প্রকাশের শর্তে লঞ্চঘাটের লোকজন জানান, টিআই মাহাতাবকে ম্যানেজ করেই তারা প্রায়ই এ ধরনের ঘটনা ঘটায়। অবশ্য নৌ-টিআই মাহাতাবের বিরুদ্ধে এছাড়াও নানা অভিযোগ রয়েছে। ইতোপূর্বে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, বেলা ১২টায় পাশাপাশি প্রিন্স সোহাগ-৭ ও আব-এ-জমজম লঞ্চ নোঙ্গর করা। দু’লঞ্চের প্রায় ১৫/২০ জন স্টাফ যাত্রীদের স্ব স্ব লঞ্চে উঠানোর জন্য ডাকা ডাকি করছে এবং একপর্যায়ে যাত্রীদের শরীরে হাতদিয়ে লঞ্চে উঠানোর জন্য টানাহেচড়া করে। পরে দু’লঞ্চের স্টাফদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এনিয়ে যেকোন মুহূর্তে দু’লঞ্চের স্টাফদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে।
এ বিষয়ে প্রিন্স সোহাগ-৭ এর চাঁদপুর ঘাটস্থ প্রতিনিধি শাহালম মিজি জানান, আমার প্রিন্স সোহাগ-৭ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়ে ১১টা ৫০ মিনিটে। ঘাট থেকে ছেড়ে যায় ১২টা ১৮ মিনিটে। আমার লঞ্চ ঘাটে থাকার সময় পায় মাত্র ২৮ মিনিট সময়। আর আব-এ-জমজম লঞ্চ ঘাটে ভিড়ায় ১১টা ৫০মিনিটে। ঘাট থেকে ছেড়ে যায় ১টায়। তারা ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট ঘাটে থাকে। আব-এ-জমজম লঞ্চটি রফরফ ও প্রিন্স সোহাগ-৭ এর মাঝখান দিয়ে প্রবেশ করে নোঙর করে। এতে প্রিন্স সোহাগ-৭ লঞ্চের মাঝামাঝি বডি বাকা হয়ে যায়। তারা জোরপূর্বক ১ ঘণ্টা ১০ মিনিট ঘাটে নোঙ্গর করে রাখে। আমার লঞ্চের ক্ষতির কারণে বন্দর কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আমার লঞ্চে যখন যাত্রী উঠে তখন আব-এ-জমজম লঞ্চের স্টাফদের দিয়ে যাত্রীদের ডেকে এবং টেনে নিয়ে যায়। তারা আমার লঞ্চের ৪৫ মিনিট পড়ে ছেড়ে যায়। তারা যদি প্রিন্স সোহাগ-৭ লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার পর যাত্রীদের ডাকে তাহলে আমাদের লঞ্চটি কিছু যাত্রী পাবে। বর্তমানে আমারা তাদের কারণে তেমন কোন যাত্রী পাচ্ছি না।
এ বিষয়ে টিআই মাহাতাব জানান, আমি তাদের শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা বলেছি, কিন্তু তারা কেউ তা মানছে না। বিষয়টি আমি নৌ-বন্দর কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
২২ অক্টোবর, ২০২০।