জিলানী চিশতী কলেজে শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত প্রতিযোগিতা

আমরা এখন চাই মানসম্মত শিক্ষা
……….. এসএম জাকারিয়া



স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের শাহ্তলী জিলানী চিশতী কলেজের ব্যবস্থাপনায় কলেজ মিলনায়তনে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণে শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় কলেজ মিলনায়তনে কলেজ গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও দৈনিক চাঁদপুর খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক সোহেল রুশদীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম জাকারিয়া।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত আমাদের অন্তরের বহিঃপ্রকাশ। ১৯৭১ সালে আমরা যদি স্বাধীন না হতাম তাহলে আমাদের অবস্থা রোহিঙ্গাদের চেয়েও খারাপ হতো। কারণ রোহিঙ্গারা বলে, তাদের কোন স্বাধীন দেশ নেই। বঙ্গবন্ধুর জন্যই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা দম্ভের সাথে অবস্থান করছে। স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। আমরা স্বাধীন হয়েছি, একটি ভূখন্ড পেয়েছি ও পেয়েছি একটি জাতীয় সংগীত। তাই এ জাতীয় সংগীত শুদ্ধভাবে গাইতে হবে। জাতীয় সংগীত অনুধাবন করে দেশেকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। পৃথিবীতে যত জাতি উন্নত হয়েছে, তাদের ভিশন ছিল, ছিল লক্ষ্য। তাই আমাদের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা এখন চাই মানসম্মত শিক্ষা। প্রধানমন্ত্রী মানসম্মত শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন। শিক্ষার মধ্যে অনেক কিছু রয়েছে। যেমন খেলাধুলা, বিতর্ক ইত্যাদি। খেলাধুলা ও সংস্কৃতচর্চা শিক্ষার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ। সংস্কৃতচর্চার মাধ্যমে মনের বিকাশ ঘটে। শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখায় জন্য খেলাধুলা প্রয়োজন। সুস্থ থাকার জন্য স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে। পৃথিবীতে সেই সুখী যার যা আছে, তার তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে।
কলেজ গভনির্ং বডির সদস্য ও উত্তর শাহতলী যোবাইদা বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কালাম আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শাহতলী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ বিলাল হোসাইন, কলেজের অধ্যক্ষ মো. হারুন-অর রশিদ, জিলানী চিশতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেপাল চন্দ্র কর্মকার, উত্তর শাহতলী যোবাইদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নয়ন চন্দ্র দাস, জিলানী চিশতী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো.শাহাদাৎ হোসেন, মান্দারী আলিম মাদরাসার শিক্ষক মো. জাহাঙ্গির আলম, কৃষ্ণপুর জোহরা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রৌশনারা আক্তার, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী মহামায়া হানাফিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমেনা বিনতে মনির প্রমুখ।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের সহকারী অধ্যাপক সাহেরা আক্তার, সহকারী অধ্যাপক মো. গোলাম সারওয়ার, সহকারী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান, সহকারী অধ্যাপক আলেয়া আক্তার, সহকারী অধ্যাপক সামিমা আক্তার, প্রভাষক মুহাম্মদ নুরুল বাতেন, প্রভাষক মাওলানা ছোহাইল আহমাদ চিশতী, প্রভাষক নুরুন নাহার বেগম মুক্তা, প্রদর্শক মো. মঞ্জুর হোসেন পাটওয়ারী, প্রভাষক ফারজানা আক্তার, প্রভাষক মো. জিয়াউর রহমান, প্রভাষক মো. হানিফ মিয়া, প্রভাষক মো. জহিরুল ইসলাম খান, প্রভাষক মো. মানিক মিয়া, প্রভাষক মো. হাবিবুর রহমান, প্রভাষক মো. শাহাদাৎ হোসেন, প্রভাষক মাহবুবুর রহমান, প্রভাষক মনোয়ারা খাতুন, প্রভাষক মো. মনজুরুল আলম পাটওয়ারী, শরীরচর্চা শিক্ষক হালিমা আক্তার, জিলানী চিশতী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম তালুকদার, ফাহিমা জাহান, রাবেয়া বেগম, মো. লুৎফুর রহমান, বিপুল চন্দ্র নন্দী, মো. ফজলুল করিম খান, মো. সাইফুল ইসলাম, সহকারী লাইব্রেরীয়ান মো. রবিউল আওয়াল খান, উত্তর শাহতলী যোবাইদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মো. নেছার আহম্মেদ, কেতুয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার শিক্ষক কাউছার আক্তার, মহামায়া হানাফিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রতন কুমার, শাহতলী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কাশেম কারী।
শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন প্রতিযোগিতায় শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে মহামায়া হানাফিয়া উচ্চ বিদ্যালয়, দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে কেতুয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসা ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে উত্তর শাহতলী যোবাইদা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়।
অনুষ্ঠানে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এসএম জাকারিয়া এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি সোহেল রুশদীসহ অতিথিবৃন্দ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন জিলানী চিশতী কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মো. নাঈম আহমেদ।