প্রতিটি পূজামন্ডপে সিসি টিভি লাগাতে হবে
……….কামরুল হাসান
স্টাফ রিপোর্টার
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে এ সভার আয়োজন করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের, কিন্তু উৎসব সবার। সরকারের যেসব নির্দেশনা রয়েছে সেগুলো মানতে হবে। প্রতিটি পূজামন্ডপে সিসি টিভি লাগাতে হবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, গুজবের বিষয়টি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত যেন কোন পদক্ষেপ না নেয়া হয়। কোনরকম কোনকিছু দেখলে আমাদের জানাবেন। অনেক দুষ্কৃতকারী রয়েছে তারা এ ধরনের গুজব ছড়িয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায়। অতএব তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলা প্রশাসক মন্ডপের স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ নিয়ে বলেন, প্রতিটি মন্ডপে সার্বক্ষণিক স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। প্রয়োজনে তাদের কয়েকটি গ্রুপ করে শিফট করে ভাগ করে দিতে হবে। এছাড়া নির্বিঘেœ যেন যান ও মানুষ চলাচল করতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচিতি নিশ্চিত করতে হবে।
বিদ্যুতের ব্যাপারে জেলা প্রশাসক বলেন, যেহেতু বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ব্যাপারে সরকার থেকে নির্দেশনা রয়েছে তাই বিদ্যুতের ঘাটতি এড়াতে জেনারেটর বা অন্যকোন উপায় ঠিক রাখতে হবে। পূজার আয়োজন ২/৪ দিন হয়, তাই বিদ্যুৎ খুব বেশি একটা খরচ হয় না। ফলে অবৈধ সংযোগ না করলে ভালো হয়।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, বিসর্জনের সময় কোস্টগার্ডের টিম সদা তৎপর থাকতে হবে। বিসর্জনের যে নির্ধারিত সময় দেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করতে হবে। সবাই মিলে সার্বজনীন এ উৎসব সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পালন করতে হবে।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. মিলন মাহমুদ। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেসব নির্দেশনা মেনে চললেই পূজা নির্বিঘেœ পালিত হবে। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করা কারো পক্ষেই সম্ভব নয় তাই মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন সিসি টিভি লাগাতে হবে। বিদ্যুৎ সমস্যাটা বৈশ্বিক সমস্যা, তাই বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কাজ করবেন। তবে অবশ্যই বিকল্প ব্যবস্থা যেমন জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের পরিচয় পত্র বা আলাদা কোন পোশাকের ব্যবস্থা করে দিবেন। গতবারের মত ঘটনা যেন পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নৌ-পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. বেলায়েত, এনএসআই’র উপ-পরিচালক শাহ আরমান আহমেদ, পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রোটা. সুভাষ চন্দ্র রায়, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা রোটা. ডা. সৈয়দা বদরুন্নাহার চৌধুরী, হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রাশেদুল ইসলাম, পিপি অ্যাড. রনজিত রায় চৌধুরী, পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক মো. সাহিদুল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক মো. খলিলুর রহমান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এমদাদুল ইসলাম মিঠুন, পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোটা. তমাল কুমার ঘোষ, সাংগঠনিক সম্পাদক রোটা. গোপাল চন্দ্র সাহা, সদর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষণ চন্দ্র সূত্রধর, হাইমচর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অজয় মজুমদার, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের হিতেশ চন্দ্র সরকার, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি কিশোর কুমার ঘোষ, মতলব উত্তর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস, হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র কর্মকার, শাহরাস্তি উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নিখিল চন্দ্র মজুমদার, কচুয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ফনি ভূষণ মজুমদার প্রমুখ।
২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২।