পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতিতে হাইমচরবাসীর দুর্দশা

সাহেদ হোসেন দিপু

পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতিতে হাইমচরবাসীর দুর্দশা বেড়েই চলছে। বেড়িবাঁধের উপরে থাকা ব্রিজে স্লুইস গেট না থাকায় জোয়ারের পানিতে মাছের খামার, পানের বরজ, ফসলী জমিসহ মানুষজনের ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে গিয়ে ক্ষতি হচ্ছে শত কোটি টাকার সম্পদের। দুর্দশাগ্রস্ত হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো।

উপজেলা পরিষদ থেকে স্লুইচ গেটের জন্য আবেদন করেও ৩ বছরে নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। এছাড়া ব্রিজ দু’টিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধ নির্মাণের কাজও হচ্ছে ঢিলেঢালা। ৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো হচ্ছে না বাঁধের কাজ। লোক দেখানো কাজ হচ্ছে বলেও মন্তব্য করছেন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।

মহজমপুর এলাকাবাসী জানান, এ ব্রিজের নিচ দিয়ে বৃষ্টির পানি বের হওয়ার একমাত্র জায়গা। এ খাল দিয়ে পানি এসে ব্রিজের নিছ দিয়ে বৃষ্টির পানি নদীতে চলে যায়। আবার জোয়ারের পানি এসে বেড়িবাঁধের ভিতরের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। তাই এ ব্রিজের মুখে প্রয়োজন ছিল স্লুইস গেট। স্লুইস গেট না দিয়ে এখানে পানি উঠা-নামার পথ একবারেই বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। এতে বৃষ্টি হলে পানি নামার আর কোন ব্যবস্থা রইলো না। আমরা অতিদ্রুত এখানে স্লুইস গেটের ব্যবস্থা করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

শুক্রবার (৭ আগস্ট) দুপুর ১২টায় সিআইপি বাঁধ নির্মাণ কাজের পরিদর্শনে যান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী। এসময় তিনি বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফলতির কারণে হাইমচরবাসীর আজকের এ দুর্দশা। ৩ বছর আগে সিআইপি বেড়িবাঁধের ভিতরে দু’টি খালের মুখে স্লুইস গেট দেয়ার জন্য আবেদন করার পরও আজও নেয়া হয়নি কোন ব্যবস্থা। যার কারণে জোয়ারের পানি খালের ভিতরে দিয়ে পবেশ করে হাইমচরের মানুষজনের শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্রিজের নিচ দিয়ে খালের মধ্য দিয়ে নোয়াখালী, ফরিদগঞ্জ, লক্ষ্মীপুর ও চাঁদপুরেও রয়েছে বন্যার আশংকা। এতো গুরুত্বপূর্ণ এ বাঁধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের এত ঢিলেঢালা কাজের আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

তিনি বলেন,  আজ ৩ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো ব্রিজের মুখ বন্ধ করার এ বাঁধ দিতে পারেনি পানি উন্নয়ন বোর্ড। তিনি এ ব্রিজে স্লুইস গেট না হওয়া পর্যন্ত হাইমচরবাসীর দুর্দশা কমবে না বলে মনে করছেন। তাই তিনি অতিদ্রুত ব্রিজ দু’টিতে স্লুইস গেটের ব্যবস্থা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমাদের বরাদ্দ না থাকায় আমরা সঠিক সময়ে কাজ করতে পারি না। আমাদের যা বরাদ্দ আসে আমরা তাই করি। আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব এ ব্রিজের মুখগুলো বন্ধ করার জন্য। স্লুইস গেটের জন্য আমরা আবেদন করেছি, অনুমোদন হলেই স্লুইস গেট করা হবে।

১০ আগস্ট, ২০২০।