বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন মতলব উত্তরে মোমবাতি সংকট

* বিদ্যুতে বড় বিপর্যয়, ভোগান্তি
* হাসপাতালে রোগীদের কষ্ট।
* মুঠোফোন সেবা বিঘ্নিত।
* ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যায়নি।
* অফিস চলেছে মোমবাতি জ্বালিয়ে।
* কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত।
* জেনারেটরের ডিজেল কিনতে ভিড়।

মনিরুল ইসলাম মনির
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাংয়ের প্রভাবে’ মতলব উত্তর উপজেলার প্রায় এক লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। পুরো এলাকায় প্রায় এক লাখ গ্রাহক অন্ধকারে রয়েছে বলে জানা গেছে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মতলব উত্তর জোনাল কার্যালয়ের আওতায় গ্রাহক রয়েছে এক লাখের মতো। আরইবি বলছে, সন্ধ্যা যতই ঘনিয়ে আসছে, গ্রাহকের ভোগান্তি ততই বাড়ছে। ছেংগারচর এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও অন্যান্য স্থানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে কাজ করছে শ্রমিকরা।
বিদ্যুতে বড় বিপর্যয়ে ভোগান্তিতে গ্রাহকরা রয়েছে। এতে হাসপাতালে রোগীদের কষ্ট, মুঠোফোন সেবা বিঘ্নিত, ব্যাংকের এটিএম বুথ থেকে টাকা তোলা যায়নি, অফিস চলেছে মোমবাতি জ্বালিয়ে, কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে, জেনারেটরের ডিজেল কিনতে ভিড় করছে গ্রাহকরা। এমনকি বাজারে মোমবাতি দাম বেশিতে বিক্রি করছে দোকানিরা।
গত সোমবার সন্ধ্যায় পল্লী বিদ্যুতের চাঁদপুরের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর মতলব উত্তর জোনাল কার্যালয়ের ডিজিএম মোহাম্মদ শামসুউদ্দিন বলেছেন, এখন পরিস্থিতি ভালো বলতে পারছি না। এখনো উপজেলার সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারিনি। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি ঠিক করার জন্য।
এদিকে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা এবং তদারক করতে পৃথক নিয়ন্ত্রণকক্ষ স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। বিদ্যুৎ বিভাগের জারি করা দুটি অফিস আদেশের একটিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। অপর আদেশে বিদ্যুৎ বিভাগের সব কেপিআই স্থাপনায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিত্রাংয়ের কারণে বিদ্যুৎ বিতরণ ও সঞ্চালন লাইনের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা/তদারকে নির্মিত বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন সব বিতরণ সংস্থা, কোম্পানি ও সঞ্চালন কোম্পানিকে পৃথক কন্ট্রোল রুম স্থাপনের অনুরোধ করা হয়েছে।

২৭ অক্টোবর, ২০২২।