মতলব উত্তরে খিরার বাম্পার ফলনেও লোকসানে কৃষকরা

মনিরুল ইসলাম মনির
মতলব উত্তরে ষাটনল চরে চলতি মৌসুমে খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। কিন্তু দাম কম পাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। ষাটনল ইউনিয়নের খাসকান্দি, লালপুর এলাকার উত্তর পাশের বিশাল চরে খিরার চাষ করেছেন কৃষকরা।
লালপুর গ্রামের খিরা চাষি রফিকুল জানান, তিনি ২০০ শতক জমিতে খিরা চাষ করেছেন। খিরার বাম্পার ফলন হয়েছে। তবে কম দাম পাওয়ায় লোকসান গুনতে হবে। খিরার চাষ করতে এবার তার খরচ পড়েছে পৌনে দুই লাখ টাকা। এ পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। দাম কমে যাওয়ায় ৫০ হাজার টাকার মতো লোকসান হবে।
খিরা সফিকুল ইসলাম জানান, অগ্রহায়ণ মাসে বীজবপন করা হয়েছিল। মাঘ মাস থেকে খিরা চাষিরা পরিচর্যা শুরু করেন। এখন পুরোদমে খিরা তোলা হচ্ছে ক্ষেত থেকে। ষাটনল গ্রামের সালাউদ্দিন বলেন, তিনি ২২০ শতক জমিতে খিরা চাষ করেছেন। উৎপাদন ভালো হয়েছে। তবে বছরের শুরুতে ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় জমিতে পানি আটকে ছিল। ফলে খিরার রঙ কালচে হয়ে গেছে। এতে খিরার দাম কম। বিক্রির চেয়ে উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লোকসান গুনতে হবে।
পূর্ব লালপুর গ্রামের আমজাদ আলী জানান, তিনি ২৮০ শতক জমিতে অগ্রিম খিরা চাষ করছেন। এতে ফলন ভালো হওয়ায় ন্যায্যমূল্য পেয়েছেন। কারণ শীতে ও রৌদ্রে খিরার রঙ ভালো থাকে। পশ্চিম লালপুর গ্রামের সোহেল রানা ২০০ শতক, ষাটনল গ্রামের মনির হোসেন ২৪০ শতক ও পশ্চিম লালপুর গ্রামের বোরহান ২০০ শতক জমিতে খিরার চাষ করেছেন। তারা জানান, উৎপাদন ভালো হয়েছে। কিন্তু খিরার রঙ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দাম কমে গেছে। এতে তাদের লোকসান গুনতে হবে। তারা আরো জানান, এ অঞ্চলে প্রায় শতাধিক একর জমিতে খিরার চাষ হয়েছে। উৎপাদন খরচ বেশি হওয়ায় লোকসান গুনতে হবে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়সাল মোহাম্মদ আলী জানান, উপজেলায় এ মৌসুমে দেড়শ’ হেক্টর জমিতে খিরা চাষ করা হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ২ হাজার ৬শ’ ৬০ টন।

১৮ মার্চ, ২০২৫।