যারা স্বাধীনতা চায়নি তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা ও গ্রেনেড হামলা করেছিলো

২১ আগস্ট শহীদদের স্মরণে জেলা আ.লীগের ব্যাপক কর্মসূচি

স্টাফ রিপোর্টার
জননেত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে হত্যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি জামায়াত ও সহযোগী ঘাতক চক্রের গ্রেনেড হামলায় নিহত শহীদদের স্মরণে ২১ আগস্ট উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ ব্যাপক কর্মসূচি পালন করেছে। গত শনিবার (২১ আগস্ট) সকাল ৮টায় চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা, দলীয় পতাকা ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল সাড়ে ৮টায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। পরে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনায় সভাপতির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ মো. নাছির উদ্দিন আহমেদ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এই আগস্ট মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারের হত্যা করা হয়েছিলো। সেই আগস্ট মাসের এই দিনে তাঁরই সুযোগ্য কন্যাকে হত্যার চেষ্টায় গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিলো। বাংলার স্বাধীনতা পক্ষে কথা যেন না বলতে পারে তাই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেডের মাধ্যমে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, যারা এদেশের স্বাধীনতা চায় না তারাই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো। যে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে কবর দেয়া হয়েছিলো সেই সাম্প্রদায়িক শক্তি আবার মাথা নাড়াচাড়া দিয়ে উঠে। সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল বলেন, দুর্দিনে আওয়ামী লীগের নেতারা ঘরে বসে থাকে না। তাই আজ প্রমাণিত হয়েছে। গ্রেনেডের মাধ্যমে মানুষের মৃত্যু আমরা চাইনি। সেদিনের গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদ করতে বাংলাদেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সেদিনের গ্রেনেড হামলা চাঁদপুরের ২ সন্তানসহ অনেকেই শহীদ হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, দলের মধ্যে কিছু উঁইপোকা রয়েছে। তাদের খুঁজে-খুঁজে বের করতে হবে। আওয়ামী লীগের আদর্শকে বুকে ধারণ করেন। ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধরে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ডা. শামছুল হক ভূঁইয়া বলেন, একটি কুচক্রী মহল জননেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিলো। ক্ষনিকের মধ্যেই সবকিছু সেদিন উলোট পালোট হয়ে যায়। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেন এদেশ এগিয়ে যেতে না পারে তার লক্ষেই সেদিন গ্র্যানেড হামলা হয়েছিলো।
তিনি আরো বরেন, আমরা কখনও আওয়ামী লীগ ছেড়ে কোথাও যাই নাই। আমরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি। এক ও অভিন্ন থাকার কারণেই আমরা জয়ী করতে পেরেছিলাম। বিজয় অব্যাহিত থাকবে যদি আওয়ামী লীগ একত্রিত থাকে। আমরা নেত্রীর নেতৃত্বে বিশ্বাসী। এই বয়সে যেটুকু দেয়ার প্রয়োজন ততটুকুই দিবো। আমাদের নেতা একমাত্র শেখ হাসিনা।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শাহআলম মিয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন সরকার, আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিদ্দিকুর রহমান ঢালী, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি মাহাবুবুর রহমান, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আবু পাটওয়ারী, জেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস মোর্শেদ জুয়েল, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন ভূঁইয়া, মহিলা আওয়ামী লীগের পক্ষে রেনু বেগম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আখতার হোসেন পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক পারভেজ করিম বাবুসহ জেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিক লীগ, ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালের এই দিনে তৎকালীন স্বাধীনতা বিরোধী বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাস বিরোধী শান্তি সমাবেশে বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা করে মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী আইভি রহমানসহ আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয় ও হাজার-হাজার কর্মী আহত হয়।
২৩ আগস্ট, ২০২১।