সৌদির গাছ রোপণ প্রকল্পে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগের প্রস্তাব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আগামি ১০ বছরে কার্বন নিঃসরণ ৫০ শতাংশ কমানোর জন্য ১০ বিলিয়ন গাছ রোপণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সৌদি সরকার। বৃক্ষরোপণ তথা কৃষিক্ষেত্রে বাংলাদেশি শ্রমিকদের দক্ষতা রয়েছে। তাই এ প্রকল্পে বাংলাদেশি কর্মীদের নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দূতাবাস জানায়, সৌদির মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ড. আব্দুল্লাহ আবু থুনিয়ানের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন দেশটিতে নিযুক্ত ঢাকার রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। এ সময় রাষ্ট্রদূত এ প্রস্তাব দেন। সৌদি উপমন্ত্রী এ প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বিষয়টি প্রকল্পের ফোকাল পয়েন্ট কৃষিমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দেবেন বলে রাষ্ট্রদূতকে অভিহিত করেন।
প্রায় ২৩ লাখ বাংলাদেশি কর্মীর সৌদি আরবে বসবাস ও তাদের চাকরি এবং চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে ‘শ্রম সংস্কার উদ্যোগ’ চালু করার জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত জাবেদ পাটোয়ারী। একইসঙ্গে তিনি সৌদি উপমন্ত্রীকে জানান, তার সরকারের নেওয়া এই উদ্যোগে গৃহকর্মীর দায়িত্ব পালন করা অনেক বাংলাদেশি নারীকর্মী বাদ পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে এসব গৃহকর্মীদের সৌদি ‘শ্রম সংস্কার উদ্যোগ’ এর অন্তর্ভুক্ত করার জন্য উপমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন রাষ্ট্রদূত।
জবাবে উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আবু থুনিয়ান সৌদি আরবের জন্য বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ দাবি করে বলেন, ‘শ্রম সংস্কার উদ্যোগ’ এর বাস্তবায়ন মূল্যায়ন করা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতে সরকার গৃহকর্মীদের এই উদ্যোগে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
বৈঠকে সৌদি উপমন্ত্রী আরও জানান, অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য চলমান বিশেষ এক্সিট কর্মসূচিটি ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে ইকামার মেয়াদোত্তীর্ণ কর্মীদের চূড়ান্ত এক্সিট ভিসা ইস্যু করার প্রক্রিয়াটি আরও কম সময়ে সম্পন্ন হবে।
বৈঠকে ২০১৯ সালে অনুষ্ঠিত সবশেষ জয়েন্ট টেকনিক্যাল কমিটির বৈঠকে নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের বিষয়েও আলোচনা হয়। এ সময় রাষ্ট্রদূত দেশটিতে বসবাসরত অভিবাসীদের বিনামূল্যে করোনার চিকিৎসা এবং টিকা সরবরাহের জন্য সৌদি সরকারকে ধন্যবাদ জানান।
বৈঠকে সৌদি মানবসম্পদ ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আব্দুল মাজিদ আল রাশুদী, দূতাবাসের মিশন উপপ্রধান এসএম আনিসুল হক, বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল, জেদ্দার কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক, দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান এবং কাউন্সেলর মো. হুমায়ুন কবীর উপস্থিত ছিলেন।

২১ এপ্রিল, ২০২১।