হাইমচরে শীতের শুরুতে শীতবস্ত্র পেতে চায় শীতার্ত মানুষজন

সাহেদ হোসেন দিপু
সারাদেশে বাড়ছে শীত। শুরু হয়েছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তীব্রতায় জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা। বাড়ছে অসহায়, দুঃস্থ মানুষের শীতজনিত দুর্ভোগ। সারা দেশের মতো হাইমচরেও বইছে শৈত্যপ্রবাহ, বাড়ছে শীত। তীব্র এ শীতে মানুষজন মানবেতর জীবনযাপন করছেন। শীত এলেই এই মানুষগুলোর কষ্টের কোন সীমা থাকে না। দিনেরবেলা যেমন তেমন করে দিন কাটিয়ে গেলেও রাতের বেলা করতে হয় শীতের সাথে যুদ্ধ। প্রচন্ড শীতে কি আর কোন রকম কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারণ করা যায়। তবু তাদের কাপড় জড়িয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে হয়। এভাবেই কেটে যাচ্ছে তাদের মানবেতর জীবন।
জানা যায়, প্রত্যেক বছরেই উপজেলা পরিষদ, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো এ অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ায়। কিন্তু যে সময় অসহায় মানুষগুলোকে শীতবস্ত্র দেয়া হয়, ঐসময় অনেকটা শীত কেটে যায়। তাই এ অসহায় মানুষগুলো এবছর শীতের শুরুতেই পেতে চায় সরকারি কিংবা বেসরকারি অথবা বিভিন্ন সংগঠনের দেয়া শীতবস্ত্র।
শীতার্ত সুফিয়া বেগম জানান, আমার তিন সন্তান ও মাকে নিয়ে খুবই কষ্টে আছি। গতবছরেও শীতে অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমরা গরিব মানুষ। আমরা টাকার অভাবে শীতের পোষাক, কম্বল কিনতে পারি না। প্রতি বছরই সরকারের দেয়া কম্বলের অপেক্ষায় থাকি। কম্বল আমরা ঠিকই পাই সেটা শীত চলে গেলে। যে সময় পাই সেই সময় আর ঐটা অল্পসময় ব্যবহার করা যায়। এবছর সেই কম্বল ব্যবহার করার জন্য বের করে দেখি ইঁদুরে কেটে নষ্ট করে ফেলেছে। তাই আমরা চাই আমাদের উপজেলা চেয়ারম্যান যে কম্বলটা আমাদের দেন আমরা যেন শীতের শুরুতে এখনই পাই। এখন কম্বলটা পেলে হয়তো আমরা শীতের কষ্ট থেকে অনেকটাই মুক্ত হতাম।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মবর্তা আমিনুর রশিদ জানান, আমাদের এখানে এখন পর্যন্ত কোন কম্বল কিংবা শীতবস্ত্র আসেনি। শীতবস্ত্র আসলে তা মানুষজনের মাঝে বিতরণ করা হবে।
হাইমচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূর হোসেন পাটওয়ারী বলেন, আমাদের পরিষদে সরকারিভাবে এখনো কোন শীতবস্ত্র আসেনি। আমি হাইমচরবাসীর কষ্টের কথা চিন্তা করে আমার এক শিল্পপতি বন্ধুর কাছ থেকে ৩ হাজার কম্বল এনেছি। গত ১৬ ডিসেম্বর শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির রোগমুক্তি কামনায় কিছুসংখ্যক কম্বল মানুষজনের মাঝে বিতরণ করেছি। খুব শীঘ্রই শীতার্ত মানুষজনের মাঝে এ কম্বলগুলো বিতরণ করবো।
২২ ডিসেম্বর, ২০২০।