সাহেদ হোসেন দিপু
হাইমচরে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক শিক্ষকসহ দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়। বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার সময় হাইমচর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৪৯তম গ্রীষ্মকালীন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা জায়, ৪৯তম বাংলাদেশ জাতীয় স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা গ্রীষ্মকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা-২০২২ ফুটবল খেলার ২য় দিনে বাজাপ্তি রমণী মহন উচ্চ বিদ্যালয় ও আলগী বাজার আলিম সিনিয়র মাদ্রাসার ফুটবল খেলায় ট্রাইবেকারের সময় বাজাপ্তি রমনি মহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আলগী বাজার আলিম সিনিয়র মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা করে। হামলার এক পর্যায়ে মাদরাসা শিক্ষক মো. রুবেল হোসেনকে শিক্ষার্থীরা এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আলগীবাজার সিনিয়র মাদরাসা ও দুর্গাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে বাজাপ্তি রমনি মহন উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে উভয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার চাই থোয়াইহলা চৌধুরীর নেতৃত্বে হাইমচর থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আলগী বাজার আলিম সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও. জিল্লুর রহমান ফারুকি বলেন, এই খেলাটি প্রথম থেকেই অনিয়ম হয়ে আসছে। বাজাপ্তি রমনী মহন উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২ জন হয়ে খেলছে। আমরা খেলার ভিতরেই রেফারী ও লাইসম্যানকে জানিয়েছি।
আহতরা বলেন, খেলার টাইব্রেকারের সময় বাজাপ্তি রমণী মহন উচ্চ বিদ্যালয়ের দর্শক/শিক্ষার্থীরা বাজে মন্তব্য করলে একজন শিক্ষক বাজে কথা না বলতে অনুরোধ করলে তারা ঐ শিক্ষকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে কিল-ঘুষি মারতে শুরু করে। এক পর্যায়ে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ইট-পাটকেল মারা শুরু করে। পরে ইউএনও স্যার ও পুলিশ এসে মারামারি নিয়ন্ত্রণ করে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ কে মীর হোসেন বলেন, বাজাপ্তী রমনী মোহন উচ্চ বিদ্যালয় ও আলগী বাজার সিনিয়র মাদ্ররাসা এই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এখানে ১ জন শিক্ষক এবং ২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা চাই থোয়াইহলা চৌধুরী বলেন, যেই দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে ঐ দুই প্রতিষ্ঠানকে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। তারা খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। দুই প্রতিষ্ঠান ছাড়া বাকি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর খেলা চলমান থাকবে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২।
