স্টাফ রিপোর্টার
শাহরাস্তি উপজেলায় নিখোঁজের ১ মাস ২৭ দিনেও নিখোঁজ ৫ বছর বয়সী ছোট্ট শিশু খাজিদার সন্ধান মিলেনি। শিশুটির কোন খোঁজ না পেয়ে পাগলপ্রায় তার বাবা-মা। অজানা শঙ্কায় চরম উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তার স্বজনদের। খাদিজাকে ফিরে পেতে মরিয়া তার পরিবারের সদস্যরা।
এদিকে শিশুটির খোঁজে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। অচিরেই শিশুটির সন্ধান পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী মডেল থানা পুলিশ।
একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে শোকে কাতর হয়ে পড়েছে শিশুটির মা। মেয়ের পড়নের কাপড় স্পর্শ করে তাকে ছুয়ে দেখার অনুভূতি নিচ্ছেন। সন্তানের কথা স্মরণ হতেই চোঁখ বেয়ে অশ্রু ঝড়ছে মায়ের চোঁখের।
জানা গেছে, শাহরাস্তি উপজেলার ছোটতুলা গ্রামের মো. সাব্বির হোসেন আব্দুল্লাহ ও ফাতেমা আক্তার দম্পতির ৫ বছর বয়সী শিশু খাদিজা আক্তার মায়া। গত ১১ এপ্রিজ বাড়ির উঠানে খেলা করা অবস্থায় হঠাৎ করেই উধাও হয়ে যায়। ঘটনার দিনই নিখোঁজ শিশুর মা ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়রি দায়ের করেন। যা পরে সন্দেহজনক দুই যুবককে আসামি করে অপহরণ মামলায় দায়ের করা হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুর দিকে এই মামলার দুই আসামি রবিউল আলম ও তার ভাই মো. ফরহাদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে গত কয়েকদিন আগে আরো একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ফাতেমা বেগমের অভিযোগ, এর আগে তার কাছে ৫০ হাজার টাকা ধার চেয়েছিল অভিযুক্তরা। সেই টাকা না পেয়ে প্রতিবেশী রবিউল আলম (২৫) ও তার ভাই মো. ফরহাদ (৩০) ক্ষুব্ধ হয়ে অপহরণ করেছে তার শিশুকে। যে করেই হোক তার শিশুকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন নিখোঁজ শিশুর মা ফাতেমা আক্তার।
খাদিজাকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গেছে তার পরিবারের সদস্যরা। দ্রুত খাদিজার সন্ধান চায় তার স্বজনরা। শুধু পরিবারের সদস্যরাই নয়, নিখোঁজ শিশু খাদিজাকে খুঁজে বের করার দাবি জানিয়েছেন শত-শত এলাকাবাসীরা।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, নিখোঁজ শিশুকে খুঁজে পেতে সব রকম চেষ্টাই করা হচ্ছে। মামলার তদন্তে অনেক তথ্য পেয়েছেন তারা। অচিরেই খাদিজাকে তার পরিবারের মাঝে ফিরিয়ে দিতে পারবে বলে আশাবাদী পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ।
০৮ জুন, ২০২১।