আজ সাচারে জগন্নাথ দেবের ১৫৬তম রথযাত্রা

কচুয়া ব্যুরো
কচুয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী সাচার জগন্নাথ ধাম অঙ্গনে ভারতীয় উপ-মহাদেশের অন্যতম দ্বিতীয় বৃহত্তম জগন্নাথ দেবের ১৫৬ তম রথযাত্রা আজ মঙ্গলবার থকে শুরু হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের এ প্রাণের উৎসব রথযাত্রাকে ঘিরে সাচার এলাকার হিন্দু লোকজনের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য ও উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। রথযাত্রা উদযাপন সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে স্থ্ানীয় প্রশাসন ও আয়োজক কমিটি ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
এ রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী ভারত থেকে বহুসংখ্যক ভক্তবৃন্দ ও বিভিন্ন শ্রেণির লোকজন কচুয়ার ঐতিহ্যবাহী সাচার এলাকায় আসতে শুরু করেছে। প্রতি বছরের মতো এবারও রথযাত্রাকে শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য সাচার জগন্নাথ ধাম পূজা ও সাংস্কৃতিক সংঘ বিশেষ ব্যবস্থাগ্রহণ করেছে। আজ সকাল থেকে জগন্নাথ দেবের প্রথম রথযাত্রা ভক্তবৃন্দ পূজা, অর্চনা ও অর্ঘ্য দিয়ে রথ শোভাযাত্রা টেনে নিবেন এবং এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার উল্টো রথযাত্রায় অনুরূপভাবে ভক্তবৃন্দ রথ টেনে আগের জায়গায় নিয়ে শেষ করবেন।
প্রথম দিনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি।
রথযাত্রাকে ঘিরে সাচার উচ্চ বিদ্যালয় এলাকা, মন্দির ও প্রধান সড়ক এলাকার দু’পাশে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন পসরা সাজিয়ে দোকান দিয়েছেন। অন্যান্য বছরের মতো এ বছর বিভিন্ন দোকান-স্টল লক্ষ্য করা গেছে। দোকানগুলোর মধ্যে রয়েছে মিষ্টি, ফার্নিচার, খেলনা সামগ্রী, কসমেটিক্সসহ হরেকরকম দোকান সাজানো হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারো রথযাত্রায় লাখ-লাখ ভক্ত সমাগমের আশঙ্কা করছে রথযাত্রা আয়োজক কমিটি। এতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
সাচার জগন্নাথ ধাম পূজা ও সাংস্কৃতিক সংঘের সভাপতি বটু কৃষ্ণ বসু জানান, রথযাত্রা সফলভাবে সম্পন্ন করতে প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, মিডিয়া ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
সাচার রথ উদযাপন কমিটির সভাপতি শুকদেব গোস্বামী ও সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ গোপ রথযাত্রায় সব ভক্ত ও হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের যোগদান করতে বিশেষভাবে দাওয়াত করেছেন।
কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. ইব্রাহীম খলিল জানান, রথযাত্রা উৎসবকে শান্তিপূর্ণভাবে গ্রহণের লক্ষ্যে থানার পুলিশের পাশাপাশি অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করা হবে।

২০ জুন, ২০২৩।