করোনায় অনেকেই কোরবানি দেয়ার সামর্থ হারিয়েছেন

শাহ আলম খান
মহামারী করোনাভাইরাসে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ বেঁচে থাকার লড়াই করে যাচ্ছে। এরই মাঝে আসছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা। ঈদ উৎসবের পাশাপাশি সামর্থবান লোকজন অর্থাৎ যাদের উপর কোরবানি ফরজ তারাই কেরাবানি করে থাকেন। কিন্তু এ বছর সেই চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। অনেকেই কোরবানি দেয়ার সামর্থ হারিয়েছেন।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও এলাকা ঘুরে জানা গেছে, এ বছর প্রায় ৭০% ভাগ মানুষ কোরবানি দেয়ার সামর্থ হারিয়েছেন। যার কারণে কোরবানির পশুর হাট শুরু হলেও ক্রেতাদের সংখ্যা খুবই কম। চাঁদপুর সদর উপজেলায় প্রতিবছর একই ইউনিয়নে একাধিক কোরবানির পশুরু হাট বসতে দেখা গেছে। কিন্তু এ বছর প্রশাসন থেকে করোনার কারণে বাজার সীমিত করা হয়েছে। প্রত্যেক ইউনিয়নে একটি করে কোরবানির পশুর হাট। তাও স্বাস্থ্য বিধি মেনে বাজার পরিচালনা করার কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের কোরবানির পশুর হাট পরিচালনাকারী একজনের সাথে কথা হয় এই প্রতিনিধির সাথে। তিনি বলেন, এলাকার বহু মানুষের সাথে কোরবানি দিবেন কিনা- এ বিষয়ে আলাপ হয়েছে। যারা প্রতিবছর আগ থেকেই বলে রাখতেন আমার জন্য একটি গরু দেখে রাখবেন। কিন্তু এ বছর সাড়া মিলেনি। কারণ মানুষের হাতে নগদ কোন টাকা নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা কোরবানি দেয়ার সামর্থ হারিয়েছেন তারা অনেকেই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কেজি হিসেবে গোশত ক্রয় করবেন, এমন প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এমন অবস্থায় সামর্থবান লোকদেরই প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়াতে হবে। কোরবানির গোশতের একটি অংশের হকদার তারাও হবেন।
২৬ জুলাই, ২০২০।