গরু চুরির ঘটনায় কচুয়ায় ওসি’র প্রেস ব্রিফিং

কচুয়া ব্যুরো
কচুয়া থানা এলাকায় গরু চুরি বৃদ্ধি ও চোর চক্রের ৭ সদস্যকে গরু চুরির ঘটনায় বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতারের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেছেন ওসি মো. মহিউদ্দিন। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি উল্লেখ করেন, ১ আগস্ট পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নের দারাশাহী তুলপাই গ্রামের আলমগীর হোসেনের গোয়াল ঘর থেকে ২টি ও ৮ আগস্ট গোহট উত্তর ইউনিয়নের নাউলা গ্রামের মো. সেলিমের গোয়াল ঘর থেকে ৪টি গরু রাতের অন্ধকারে চোর চক্র চুরি করে নিয়ে যায়।
তাছাড়া ৫ আগস্ট রাত ৩টার সময় পার্শ্ববর্তী হাজীগঞ্জ উপজেলার জয়শরা তালুকদার বাড়িতে গরু চুরি করতে গেলে মতলব দক্ষিণ ইউনিয়নের গাবুয়া গ্রামের মো. শরিফসহ ৪ চোরকে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ আটক করে আদালতে প্রেরণ করে। আটক শরীফ আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে জানান, হাজীগঞ্জ উপজেলার এরশাদ, কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের আ. হামিদের ছেলে রাসল মিয়া (৩৮), তেতৈয়া গ্রামের খন্দকার বাড়ির লিটনসহ একটি সংঘবদ্ধ চক্র কচুয়া ও হাজীগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে গরু চুরি করে। এ ঘটনার পর কচুয়া থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৭ আগস্ট কচুয়ার বিতারা গ্রামের রাসেল ও ৮ আগস্ট তেতৈয়া গ্রামের লিটনকে গ্রেফতার করে ৯ আগস্ট আদালতে প্রেরণ করে।
প্রেসব্রিফিং এ তিনি আরো উল্লেখ করেন, বিতারা গ্রামের রাসেল অন্যান্য আসামিদের সাথে নিয়ে গরু চুরি করে পিকআপ দিয়ে অন্যান্য গরু চোরদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। কচুয়া ও হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে গরু চুরির সক্রিয় সদস্য কচুয়া থানার বিতারা ইউনিয়নের রাসেল মিয়া, তেতৈয়া গ্রামের লিটন, হাজীগঞ্জের এরশাদ জাহাঙ্গীর, শাকিব, মতলব দক্ষিণের শরীফ, চান্দিনা উপজেলার সজিবসহ ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গরু চুরির সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য চোরদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
১১ আগস্ট, ২০২১।