সজীব খান
চাঁদপুরে কাঁচা বাজারে দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেড়েই চলছে। প্রতিনিয়তই বিভিন্ন হাট-বাজারে কাঁচা তরি-তরকারি দাম উর্ধ্বগতিতে রয়েছে। এ নিয়ে সাধারণ ক্রেতারা চরম হতাশায় রয়েছে। কাঁচা বাজার সরকারিভাবে মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকার কারণে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে নিচ্ছে বলে ক্রেতা সাধারণের অভিযোগ।
দেশের করোনা পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষগুলো এমনিতেই বিপাকে রয়েছে। তার উপর কাঁচা বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে সাধারণ মানুষদের। বেশ কয়েক দিন ধরে চাঁদপুরে কাঁচা বাজারগুলো লাগামহীনভাবে চলছে। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে তরি-তরকারি ক্রয় করতে গিয়ে চাহিদার তুলনায় ক্রয় করতে পারছে না। এতে অনেকে বাজার থেকে শুধুমাত্র আলু ক্রয় করে বাসায় ফিরতে শোনা যায়। চাঁদপুরে কাঁচা বাজারগুলো লাগামহীন থাকার চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছে সাধারণ মানুষ।
সরেজমিনে বিভিন্ন হাট-বাজারে ঘুরে দেখা যায়, আলু ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, সীম ১শ’ ৮০ টাকা, কইডা, ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ভেন্ডি ৫০ টাকা, টমেটো ১শ’ ২০ থেকে ৩০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, ছড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৪০ টাকা, কাকড়ল ৬০ টাকা, কুমড়া ৪০ টাকা, বড়বটি ৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিচ ৯০ থেকে ১শ’ টাকা, কাঁচা মরিচ ২শ’ ৫০ টাকা, শুকনো মরিচ ২শ’ ৫০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, গাজর ১শ’ ২০ থেকে ৩০ টাকা, লাল শাক ৫০ টাকা প্রতি কোজি।
এদিকে মাছের বাজারে ঘুরে দেখা যায় কাঁচা তরকারি তুলনায় মাছের দাম কিছুটা স্থিতিশীল। যেমন প্রতি কেজি তেলাপিয়া মাছ ১শ’ ৫০ টাকা, পাঙ্গাশ মাছ ১শ’ ৫০ টাকা, রুই মাছ ২শ’ ৫০ থেকে ৭০ টাকা, কাতলা মাছ ২শ’ ৫০ টাকা, ইলিশ আঁধা কেজি সাইজের ৬শ’ টাকা, পাভদা ৪শ’ টাকা, হাইব্রিড হরপুটি ১শ’ ৫০ টাকা, চিংড়ি ৬শ’ থেকে ৭শ’ টাকা, মিরকা মাছ ১শ’ ৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬শ’ টাকা, ব্রয়লার মুরগি ১শ’ ২০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
কাঁচা বাজারগুলো লাগামহীন থাকায় মধ্যম আয়ের মানুষগুলো কোনরকম ক্রয় করতে পারলেও সাধারণত নিম্ন আয়ের মানুষগুলো কাঁচা বাজার ক্রয় না করেই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। কাঁচা বাজারে সরকারের মনিটরিং না থাকায় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে কাঁচা বাজারে দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। কারণ মানুষের নিত্যদিন কাঁচা বাজারের প্রয়োজন রয়েছে। তবে চাঁদপুরের কাঁচা বাজারগুলো এক এক বাজারে এক রকম ধরে কাঁচা মাল বিক্রি হচ্ছে। গ্রামঞ্চলের মানুষের সরলতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামের হাট বাজারগুলো বেশি হারে দাম নিচ্ছে বলে ক্রেতারা জানিয়েছেন।
গতকাল চাঁদপুর শহরের পালবাজার, বিপণীবাগ বাজার, নতুন বাজার, ওয়ারলেছ বাজার থেকে শুরু করে বাবুরহাট, শাহতলী, মহামায়া, চাঁনখার বাজারসহ বেশ কয়েকটি হাট বাজারে সরজমিনে ঘুরে ও খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কাঁচা বাজার একটু লাগামগীন রয়েছে। এ সময় অনেক বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা কাঁচা বাজারের দাম-দর নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
কাঁচা বাজারের দামের উর্ধ্বগতি সম্পর্কে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বর্ষা ও বন্যার কারণ দেখিয়েছে। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে মালামাল আনতে অনেক খরচ হয় বলেও তারা জানিয়েছে।
১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০।