স্টাফ রিপোর্টার
‘সুস্থ-সবল জাতি চাই, পুষ্টিসম্মত নিরাপদ খাদ্যের বিকল্প নাই’ জাতীয় নিরাপদ খাদ্য দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা খাদ্য অধিদপ্তরের আয়োজনে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত শনিবার সকাল ১১টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজ এলাকা থেকে একটি র্যালি বের হয়।
র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, আমাদের মৌলিক ৫টি চাহিদার মধ্যে খাদ্য অন্যতম। সরকার জনগণকে নিরাপদ খাদ্য প্রদানে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এসব বাস্তবায়নে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। বেশি লাভের আশায় যেসব অসাধু ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভেজাল মেশাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ভ্রাম্যমাণ অভিযান অব্যাহত থাকায় চাঁদপুরে খাদ্যে ভেজালের প্রবণতা অনেকটা কমে এসেছে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গরুর মাংস সবচেয়ে দামী খাবার। গরুকে ভাল খাবার খাইয়ে মোটাতাজা করা হয়। স্যামন ফিস আরেকটি অন্যতম দামী খাবার। এই রুই প্রজাতীর মাছ। অর্থনীতির উন্নতি হলেও আমাদের রুচির পরিবর্তন হয়নি। ভিক্ষুকের সংখ্যা কমলেও সারাদিন যা পায় তা দিয়ে তারা চলতে পারে। অবুক্ত ব্যক্তি ছেড়া কাপড় করলে কারো কাছে হাত পাতলে ২/৪ দিনের মধ্যেই নতুন কাপড় পেয়ে যায়। চাঁদপুর শহরের বড়স্টেশন মুলহেডে প্রবেশের ফোরস্টার হোটেল ও কালিবাড়ি মোড় এলাকার চাঁদপুর হোটেলে আমাদের নির্দেশ দেয়া আছে অবুক্তদের খাদ্য দেয়ার কথা। তারা অবুক্তদের খাবার খাইয়ে থাকে। নিরাপদ খাবার গ্রহণ করতে হলে ভোক্তাকে মূল্য দিতে হবে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোখলেছুর রহমানের সভাপতিত্বে ও চাঁদপুর সিএসডি খাদ্য গুদামের ব্যবস্থাপক সালমা আক্তারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ড. জাকির হোসেন, জেলা ক্যাব সদস্য বিপ্লব সরকার, চাল মিল মালিক সমিতির আব্দুর রহিম, বাবা মাল্টিপারপাস ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মো. ফয়সাল চৌধুরী প্রমুখ।
