চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ৫

স্টাফ রিপোর্টার
চাঁদপুরে যৌথ বাহিনীর পৃথক অভিযানে অবৈধ অস্ত্রসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে আটক ব্যক্তিদের মতলব উত্তর ও হাইমচর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চাঁদপুর জেলা সেনাবাহিনীর মিডিয়া সেলের দেওয়া তথ্য মতে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে তাঁদের গতকাল রোববার রাতে হাইমচর উপজেলার চরডাঙ্গা গ্রামে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত এসএম কবির, মো. আবু জাফর ও এস এম ফজলুল রহমানকে স্থানীয় একটি বাজার থেকে আটক করা হয়। পরে তাদের হাইমচর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
জানা যায়, রোববার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ডিবি যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে। ঐ অভিযানে রাত ৮টার সময় সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এসএম কবির, তার চাচাতো ভাই ফজলু শেখ ও তার ভাগিনা জাফর বল্লিকে আটক করা হয়। গতকাল সোমবার এদের বিরুদ্ধে চরভৈরবী ইউনিয়নের শামছল হক গাজী বাদী হয়ে হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, কবির শেখের সাথে ২০০৯ সালে জমি সংক্রান্ত বিরোধ সৃষ্টি হয়। শামসুদ্দিন গাজির ছেলে বিজিবি সদস্য শহিদুলের সাথে কথা কাটাকাটি হয়। ঐ বিরোধকে কেন্দ্র করে কবির শেখ, ফজলু শেখ ও জাফর বল্লি গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ৭ আগস্ট তাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাট করেন মামলায় উল্লেখ করেন। দায়ের করা মামলায় আটক দেখিয়ে তাদেরকে চাঁদপুর আদালতে প্রেরন করে হাইমচর থানা পুলিশ। পরবর্তী সময়ে জানাজায় ডিএমপি উত্তরা পশ্চিম থানায় গত ২ সেপ্টেম্বর এস এম কবির শেখের নামে আরও ২ টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং ৪ জিআর নং ৩০৮ এবং জিআর নং ৩০৯ মামলা নং -৫। মামলা দুটি ধারা ৩০৭/৩২৬/৩৪ প্যানেল কোড ১৮৬০।
এদিকে মতলব উত্তরে লধুয়া গ্রামে মো. আ. ছাত্তার ও মো. সোহরাব হোসেন নামের দুই ব্যক্তি আদালতে জবানবন্দি দেওয়ায় বাদীর বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় পুলিশের হস্তক্ষেপে তার বাড়ি রক্ষা পায়। এরই ধারাবাহিকতায় ৬ অক্টোবর রাতে তিনটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় এই দুজনকে আটক করা হয়। পরে আটক ব্যক্তিদের মতলব উত্তর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
চাঁদপুরে নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর আক্রমণকারী সন্ত্রাসীসহ সব অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও মাদক ব্যবসায়ীকে আটক না করা পর্যন্ত যৌথ বাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয় মিডিয়া সেলের দেওয়া তথ্যে।

০৮ অক্টোবর, ২০২৪।