জনবল সংকটে ভুগছে মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিস

পর্যাপ্ত কৃষি পরামর্শ থেকে বঞ্চিত কৃষকরা

মতলব উত্তর ব্যুরো
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি অফিসে ৫১ জন কৃষি কর্মকর্তা-কর্মচারীর পরিবর্তে কর্মরত আছেন মাত্র ১৯ জন যার ফলে কৃষি বিভাগ থেকে পর্যাপ্ত সহায়তা ও সময়মত প্রশিক্ষণ পাচ্ছেন না এ উপজেলার কৃষকরা। ছেংগারচর পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে মতলব উত্তর উপজেলা গঠিত প্রতিটা ইউনিয়নে মাঠ পর্যায় কৃষকদের প্রশিক্ষণ ও তদারকি করার জন্য তিনজন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার থাকার কথা থাকলেও আছে মাত্র ১৬ জন উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ২৭টি পদই শুন্য।
দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর ‘মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প’। যার উৎপাদিত ধান স্থানীয় চাউলের চাহিদা মিটিয়ে দেশের জাতীয় খাদ্য ঘাটতি মিটাতে সহায়তা করছে। কিন্তু জনবল সংকটের কারণে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত সহায়তা দিতে পারছে না কৃষকদের।
উপজেলা কৃষি অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, উপজেলা কৃষি অফিসে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মঞ্জুরিকৃত পদ ৫১টি পদগুলো হচ্ছে উপজেলা কৃষি অফিসার ১টি, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার ১টি, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ২টি, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ১টি, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ৪৩টি, উচ্চমান সহকারী ১টি, কম্পিউটার অপারেটর ১টি, অফিস সহকারী ১টি।
এ অফিসে ৫১টি পদের মধ্যে কর্মরত লোকবল রয়েছে মাত্র ১৯টি পদে যেমন উপজেলা কৃষি আফিসার ১জন, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ১জন, সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ১জন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ১৬জন। বাকি ৩২টি পদই রয়েছে খালি। এর মধ্যে ফেব্রুয়ারি মাসে আরো ৩টি পদ শুন্য হবে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পর্যায়ের উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ৪৩টি পদের ২৭টি পদে লোকবল না থাকায় অনেকটাই খুঁড়িয়ে চলছে মাঠ পর্যায়ের কৃষি কায্যক্রম।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. সালাউদ্দিন জনবল সংকটের বিষয়ে বলেন, জনবল সংকটে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনায় বাঁধার সম্মুখীন হচ্ছি। এ সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে এ উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরেই অর্ধেকের বেশি জনবল না থাকার কারণে কৃষকদেরকে কাংক্ষিত সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তাদের। এমতাবস্থায় নির্ধারিত কাজের চেয়েও দ্বিগুণ কাজ করতে হচ্ছে অন্যান্য কর্মকর্তাদের। নিজের এলাকার বাইরে গিয়েও কাজ করছেন অনেক কৃষি কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, যদিও উপজেলায় বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে উপজেলার কৃষি সেবার মান অনেক ভালো, তারপরও জনবল স্বল্পতার কারণে আশানুরূপ কৃষি সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সীমাবদ্ধতা আছে। সে ক্ষেত্রে মতলব উত্তর উপজেলায় উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার সংখ্যা আরও কয়েকজন বেশি থাকলে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের আরও বেশি সেবা দেয়া সম্ভব হতো।