আ. ছোবহান লিটন
হঠাৎ টানা দু’দিনের প্রবল বর্ষনে ফরিদগঞ্জ উপজেলার মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে। কার্তিক মাসের প্রথমদিকে এই টানা দু’দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার মাছ চাষিদের বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা বরোপিট, ঝিল, পুকুর ভরাট হয়ে পাড় উপছে থৈ-থৈ পানিতে চাষকৃত মাছ ভেসে যায়। চাষিদের চাষকৃত মাছ এখন খোলা জলাশয়, নদী, খাল বিলে বিচরণ করছে। এতে সাধারণ মানুষ নদী ও খাল-বিলে মাছ শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়ছে। তাই মাছ চাষিদের ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়।
উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের ১৭৭টি গ্রামে ১০ হাজার ৬শ’ ৬৫টি পুকুর রয়েছে। এসব পুকুরে মাছ চাষিরা ইজারা নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে আসছে। এছাড়া উপজেলার চরাঞ্চলে যেমন মিরপুর, কেরোয়া, চরবসন্ত, চরকুমিরা, কুমিরা মথুরাচর, রামপুরচর ইত্যাদি এলাকায় নিচু জমিতে বড় বড় ২৯টি বরোপিট তৈরী করে বাণিজ্যিকভাবে মাছ চাষ করে আসছে চাষিরা। প্রতিটি বরোপিটে লাখ-লাখ টাকা ব্যয় করছে চাষিরা। উপজেলায় বাণিজ্যিকভাবে মাছ উৎপাদন করায় চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি মাছ উৎপাদন করছে মাছ চাষিরা। এতে প্রতি বছর উপজেলার চাহিদা পূর্ণ করে ১২৫.২৫ মেট্রিক টন মাছ উদ্ধৃত রয়েছে।
সম্প্রতি হঠাৎ ২ দিনের টানা বর্ষণে মাছ চাষিদের পুকুর, ঝিল, বরোপিট পানিতে পাড় উপছে মাছ খোলা জলাশয়ে ছলে যায়। এতে করে শত-শত মাছ চাষি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। উপজেলার চরকুমিরা গ্রামের মাছ চাষি আবুল কালাম, কেরোয়া গ্রামের মিছির আলী, কামাল হোসেন মিজিসহ অনেকেই জানান, হঠাৎ প্রবল বর্ষণে পুকুর ও ঝিলের পাড় ভেসে খোলা জলাশয়ে বের হয়ে যায়। দ্রুত চারপাশে জাল দিয়ে কোন রকম রক্ষা করার চেষ্টা করেছি। সিআইপি বেড়িবাঁধের গেট দিয়ে যদি দ্রুত পানি নিস্কাশন করা হয় তাহলে শত শত মাছ চাষি কিছুটা রক্ষা পাবে।
এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শওকত আলী বলেন, এখনো কোন মাছ চাষি আমাকে কিছুই জানায়নি। তবে আমি নিজ থেকেই মাছ চাষিদের খোঁজ-খবর নিচ্ছি। সিআইপি বাঁধের ভিতরের পানি দ্রুত নিস্কাশন ও ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের সার্বিক সহযোগিতা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
২৫ অক্টোবর, ২০২০।