পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত স্থগিত করোনা আতংকে সফরমালীর গরুর হাট বন্ধ


স্টাফ রিপোর্টার
করোনাভাইরাসের কারণে সদর উপজেলার সফরমালীর গরুর হাট বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ ও পুলিশ প্রশাসন সফরমালীর গরুর হাট বন্ধ করেন।
সম্প্রতি করোনা আতংকে রয়েছে সারা পৃথিবী। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্ত কয়েক জনের মৃত্যু এবং আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার কারণে পুরো দেশেই এখন আতংকে ভাসছে। তাই সরকারিভাবেই গণসমাবেশ নিষেধ রয়েছে। সফরমালী গরুর বাজারকে কেন্দ্র করে প্রতি সোমবার সফরমালী বাজারে শত-শত লোকের সমাগম ঘটে। তাই এ সমাগম বন্ধ করার জন্য জেলা প্রশাসন সফরমালী গরুর হাট বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেন। এদিকে সমপোযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে সফরমালীর গরুর হাট বন্ধের করার জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছে স্থানীয় জনগণ।
জানা যায়, সফরমালীর গরুর হাটে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, ভারতের বর্ডারসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শত-শত গরু আসে প্রতি হাটবার। এর সাথে শত-শত লোক তো রয়েছেই। সম্প্রতি দেশে করোনা আতংকে রয়েছে সবাই। বাংলাদেশে এখন মাদারীপুর জেলা করোনায় ঝুঁকিতে রয়েছে বেশি। আর সেখান থেকেও সফরমালীর গরুর হাটে গরু আসে। আর ভারতীয় গরু তো আসছেই। বিষয়টি স্থানীয় জনগণকে বিশেষভাবে ভাবিয়ে তুললে তারা বিষয়টি জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানান। জেলা প্রশাসন বিষয়টি আমলে নিয়ে সফরমালী গরুর হাট বন্ধ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা বলেন, বর্তমান সময়ে করোনার আতংকে রয়েছে সবাই, সরকারিভাবেই গণসমাবেশ নিষেধ রয়েছে। করোনা থেকে দেশবাসীকে বাঁচানোর জন্য সফলমালীর গরুর হাট বন্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা বন্ধ থাকবে।
এদিকে অনুসন্ধানে জানা যায়, সফরমালীর গরুর বাজারটি সরকারিভাবে কোন প্রকার ইজারা না থাকায় প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মহলের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে। প্রতি বছর এ বাজারটি ইজারা হলে সরকারি কোষাগারে লাখ-লাখ টাকা জমা পড়তো বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। এ নিয়ে চাঁদপুরের বিভিন্ন প্রত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলেও এ পর্যন্ত সফরমালী গরুর হাটটি সরকারিভাবে ইজারা হয়নি। সফরমালীর গরুর বাজারটি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই এক পরিবারের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ বাজারটি প্রতি সপ্তাহের সোমবার বসে। প্রতি বাজারে এখানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সড়ক ও নৌ-পথে কয়েক হাজার গরু আসে। এ বাজারে গরু আমদানি ও রপ্তানি বেশি হওয়ায় জেলা ও জেলার বাইরে থেকে শত-শত ক্রেতা ও বিক্রেতার এখানে মিলন মেলা ঘটে। প্রশাসনের চোখের অন্তঃরালে কিভাবে বাজারটি ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালনা হচ্ছে- এ নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজ করছে।