ভোরের চোখ,ডেস্কঃ বর্তমান সারা বিশ্বের বিজ্ঞানীদের ধারনা যে জ্বালানী ছাড়া স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করা অসম্ভব। অর্থাৎ (তেল, গ্যাস, কয়লা, পানি, বাতাস, সৌরশক্তি) ব্যবহার ছাড়া কোন প্রকার স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করা সম্ভব নয়। কিন্তু তাদের সে ধারণা ভূল প্রমাণিত করে আমি দীর্ঘ ৮ (আট) বছর যাবৎ গবেষণা করে প্রায় সাড়ে তিনশত বার ব্যর্থ হয়ে অবশেষে মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে জ্বালানী ছাড়াই স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন শাইফুল ইসলাম। এই ইঞ্জিনে কোন প্রকার জ্বালানী ব্যবহার করতে হবে না। এই ইঞ্জিন দিয়ে জ্বালানী ছাড়াই বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের যত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন তা উৎপাদন করা যাবে এবং সকল প্রকার যানবাহন যেমন বাস, ট্রাক, লঞ্চ, স্টীমার, জাহাজ, উড়োজাহাজ চালানো যাবে। তার এই গবেষণার কাজে খরচ হয়েছে প্রায় ১৭ লাখ টাকা । গবেষণার কাজে এই টাকার যোগান দিয়েছে তার পরিবার। পাকা ধানক্ষেতসহ সমস্ত জমি বন্ধক রেখে ও তার বড় ভাই বিদেশ থেকে টাকা দিয়েছে। এই গবেষণা কাজের জন্য তিনি দুই বার ইন্ডিয়াতে গিয়েছেন। অবশেষে ট্রেড লাইসেন্স, টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স সার্টিফিকেট, ভ্যাট-ট্যাক্স সার্টিফিকেটসহ ইন্টারন্যাশনাল ইমপোর্ট লাইসেন্স করে চীন থেকে যন্ত্রাংশ এলসির এর মাধ্যমে চট্রগ্রাম বন্দর দিয়ে সরকারকে ১,৭৭,১৪০ (১ লক্ষ সাতাত্তর হাজার একশত চল্লিশ টাকা) ট্যাক্স প্রদান করে আনা হয়।
অবশিষ্ট যন্ত্রাংশ দেশেই তৈরী করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জ্বালানীবিহীন ২০ কিলোওয়াট ক্ষমতার একটি বিদ্যুতকেন্দ্র ও জ্বালানীবিহীন একটি প্রাইভেটকার গাড়ী প্রদর্শন করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয় এবং এর জন্য গাড়ীও কেনা হয়েছে যার রেজিষ্ট্রেশন নং ঢাকা মেট্রো গ-১১-১৩০৮। তার ইচ্ছা ছিল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে উক্ত আবিষ্কারের প্রকল্পটি দেশবাসীসহ সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরবেন। কিন্তু পহেলা আগষ্ট ২০১৬ তারিখে চূড়ান্ত পরীক্ষায় যন্ত্রাংশের কিছু ত্রুটি ধরা পড়ে। এই ত্রুটি সম্পূর্ণ দূর করে স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিনের একটি মডেল বা নকশা উদ্ভাবন করেছেন। উক্ত মডেল বা ড্রয়িং অনুযায়ী বাংলাদেশে যন্ত্রাংশ তৈরী করা সম্ভব নয়। তাই সহজলভ্য হিসাবে পার্শ্ববর্তী দেশ চীনে গিয়ে তার উদ্ভাবিত ড্রয়িং অনুযায়ী যন্ত্রাংশ তৈরী করে স্বয়ংক্রিয় ইঞ্জিনের বাস্তবে রুপ দিয়ে উক্ত প্রকল্পটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে সারা বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে চান শাইফুল। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বের সকল বিজ্ঞানীদের প্রতি তিনিও ওপেন চ্যালেঞ্জ করে বলতে চান এটা অসম্ভব নয়, এটা সত্য, এটা বাস্তব। কিন্তু তার পরিবারের পক্ষে আর অর্থের যোগান দেওয়া সম্ভব নয় কারণ তার এই গবেষণার জন্য তার পরিবার আজ প্রায় নিঃস্ব এবং ঋণগ্রস্থ। এমতাবস্থায় তিনি ভোরের চোখের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট সরাসরি সহায়তা প্রার্থনা করছেন।
বাংলাদেশ সরকার দেশের চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ উৎপাদন করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করছে কিন্তু জ্বালানী সংকট অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে। তিনি সরকারকে শতভাগ গ্যারান্টি দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে যত মেগাওয়াট বিদ্যুত প্রয়োজন তার সবটুকু উৎপাদন করা যাবে সম্পূর্র্ণ জ্বালানী ছাড়াই।
রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র, রুপপুর পরমানু বিদ্যুতকেন্দ্র করতে হবে না। এমনকি বাংলাদেশে যতগুলো জ্বালানী নির্ভর বিদ্যুৎ কেন্দ্র আছে সেগুলোর আর ব্যবহার করার প্রয়োজন হবে না। দেশের সকল জনগণকে স্বাক্ষী রেখে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চান, প্রধানমন্ত্রী যদি সহযোগীতা করেন তাহলে জ্বালানী ব্যবহার ছাড়াই দেশের প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা যাবে আর বিদেশ থেকে বিদ্যুৎ আমদানী নয় বরং আপনি বিদ্যুত রপ্তানী করতে পারবেন- ইনশাল্লাহ।
উক্ত ইঞ্জিন আবিষ্কারটি অসম্ভব মনে করে কেউই আমাকে সহযোগীতা করেতেছে না। কারণ সবাই বলেন, ইহা কিভাবে সম্ভব তাহা সম্পূর্ণ বিস্তারিতভাবে ফর্মূলা তাদের বলতে হবে এবং তাদের বিস্তারিত যন্ত্রাংশগুলো দেখাতে হবে। কিন্তু দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য আবিষ্কারের গোপনীয়তা রক্ষা করা ও আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি/পেটেন্ট গ্রহণের লক্ষ্যে সকলের যৌক্তিক দাবীগুলো এখনই পূরণকরা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বিষয়টি সকলকে বিবেচনা করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেন। তিনি আরও বলেন সম্মানিত সাংবাদিক ভাইদের অসহযোগীতার কারণে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এবং জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারছি না। সন্মানিত সাংবাদিক ভাইয়েরা সহযোগিতা করলে হয়তো তা সম্ভব হতো। তিনি ভোরের চোখকে বলেন আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করার জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করেছেন কিন্তু পারিনি। অনেকে টাকার বিনিময়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করিয়ে দিবে বলে আশ্বাস দিচ্ছে কিন্তু সে টাকার পরিমাণ বেশি হওয়ায় তা থেকে সরে আসেন তিনি।
তিনি বলেন সারা বিশ্ব আজ জ্বালানী ব্যবহার করে জলবায়ুর পরিবর্তনের ঝুকিতে রয়েছে এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘ নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং উক্ত বিষয়ের উপর আমাদের প্রধানমন্ত্রীও জাতিসংঘে ভাষণ প্রদান করেছেন। তিনি বলেন আমার উক্ত ইঞ্জিনে যেহেতু কোন প্রকার জ্বালানী ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই তাই জলবায়ুর পরিবর্তনের কবল থেকেও এই পৃথিবীকে রক্ষা করবে- ইনশাল্লাহ।