আবু তালেব সরদার
ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি জোড়াতালি দিয়ে চলছে।
জানা গেছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ২০১২ সালে এক সম্মেলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাহেদ সরকার নির্বাচিত হন। বর্তমান সেই কমিটির ১ যুগের বেশি ধরে চলছে। দিন যতই যাচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে। যে কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগ একরকম নিষ্ক্রিয় অবস্থা। ৬৮ জন জনবল নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগ গঠিত হলেও বর্তমান কয়েক বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সাথে নিজেদের মধ্যে টানাপোড়ন চলছে। যে কারণে উপজেলা আওয়ামী লীগ দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়েছে। এছাড়া ফরিদগঞ্জ আসনের স্থানীয় সংসদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাথে দীর্ঘদিন ধরে দূরত্ব চলে আসছে। যদিও উপজেলা আওয়ামী লীগও স্থানীয় সংসদ সদস্য একই সুতোয় গাঁথা। তবে বড় বড় কথার বলার মানুষ থাকলেও ফরিদগঞ্জ আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে নিজের মাথায় বোঝা নিয়ে দল ও দলের অন্তদ্বন্ধকে একীভুত করে দলকে ঢেলে সাজাতে কাজ করছে না।
শুধু দলের নাম কেউ কেউ কালো চশমা পড়ে উপজেলা আওয়ামী লীগকে সর্বশান্ত করতে চায়। এছাড়া এ আসনে দীর্ঘদিন ধরে ইনসাইড পলিটিক্স চলে আসছে। আর এ যেন একটি অনিয়মকে নিয়মে পরিণত হয়। অপরদিকে ১৫টি ইউপি ও ১টি পৌরসভা একই বছর ইউপি আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন করা হয়। এতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটিও মেয়াদোত্তীর্ণ অবস্থায় আছে এবং ইউনিয়ন কমিটিগুলোতে গত ১ দশক ধরে একটি বর্ধিত সভা বা সাধারণ সভা হয়নি। ফলে ৬০ থেকে ৭০ জন লোকবলের কমিটি কে কোন পদে আছে তাও অনেক নেতা কর্মীর জানা নেই।
বর্তমান ফরিদগঞ্জ আওয়ামী লীগের নীল সাদা গোলাপী রাজনীতি বন্ধের মাঠপর্যায়ে ছাত্রলীগের কর্মী থেকে আজ অবধি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এমন নেতার একান্ত প্রয়োজন নেতাকর্মীরা মনে করেন। তাই এ দলকে ঢেলে সাজাতে তাদের বিকল্প নেই। দলের লেজে গোবরে অবস্থা পরিষ্কার করতে উপজেলা আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটে এগিয়ে যাওয়া ব্যক্তিসহ আওয়ামী লীগ প্রেমীদের নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগকে ঢেলে সাজাতে নেতাকর্মীদের অভিমত প্রকাশ করেন।
১১ জুন, ২০২৪।