ফরিদগঞ্জ ব্যুরো
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বপন নামক এক দালাল কর্তৃক ২ রোগীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। গত মঙ্গলবার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেঙ্গু ওয়ার্ডের নারী ইউনিটে এই মারধরের ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার রোগীরা হলেন- ফরিদগঞ্জ পৌরসভার শাহাপুর গ্রামের শাহিনা বেগম এবং রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউনিয়া গ্রামের রওশনারা বেগম। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, স্বপন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। তিনি হাসপাতালে অন্যায় প্রভাব খাটান।
মারধরের শিকার শাহিনা বেগম, গতকাল রাত ১০টার দিকে আমার স্যালাইন শেষ হয়ে গেলে কর্তব্যরত নার্স সালেহা বেগমের কাছে যাই। ঐসময়ে কোন একটা বিষয় নিয়ে নার্সের সাথে স্বপনকে তীব্র বাজে ব্যবহার করতে দেখি। আমি নার্সকে কিছু না বলেই আমার বেডে ফিরে আসতে যাচ্ছিলাম। এসময় আমি মুখ ফসকে বলে ফেলি- ‘এটা মানুষের আচরণের মধ্যে পড়ে না’। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে নারী ইউনিটে প্রবেশ করে একাধিকবার আমাকে এলোপাতাড়ি চড়-থাপ্পড় দেয়। আমার ভাই-ভাবীসহ পাশের রোগীরা এগিয়ে এলে তারাও মারধরের শিকার হন। পাশের বেডের রোগী রওশনারা বলেন, শাহিনাকে মারধর শুরু করলে আমি তাকে আগলে রাখতে গেলে, আমি স্বপনের এলোপাতাড়ি মারধরে শিকার হই।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত স্বপনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ঘটনাটি আপনারা যেমন শুনেছেন পুরোপুরি তেমন না। যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি আমাদের পরিবারের সাবেক সদস্য। আপনাদের সাথে বসে কথা বলতে হবে।
নার্স ইনচার্জ ফারজানা আক্তার বলেন, রোগীকে মারধরের ঘটনাটি সত্য। স্বপন প্রায়ই বিভিন্ন রোগীর পক্ষ হয়ে হাসপাতালে এসে নার্সদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। আমরা প্রতিনিয়তই নিরাপত্তা ঝুঁকিতে আছি। বিষয়টি আমরা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আসাদুজ্জামান জুয়েলের কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমি অভিযোগ পেয়েছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হয়েছি। বিস্তারিত তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।
২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪।