মতলব উত্তরে পাঠ্যপুস্তক উৎসব

মনিরুল ইসলাম মনির
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য প্রফেসর ড. শামসুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে, শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলছে। সর্বোপরি মানসম্মত শিক্ষা বা যুগ উপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
রোববার (১ জানুয়ারি) সকালে মতলব উত্তর উপজেলার মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও লুধুয়া হাইস্কুল এণ্ড কলেজে পাঠ্যপুস্তক উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী প্রফেসর ড. শামসুল আলম।
তিনি আরো বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে নিজেদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সবাইকে এক সঙ্গে মিলে শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম খান, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাড. আক্তারুজ্জামান, সদস্য আব্দুল মতিন সরকার, উপজেলা যুবলীগ নেতা শরীফ হোসেন সরকার প্রমুখ।
বেলা ১২টায় উপজেলার লুধুয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান শিকদারের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন মতলব উত্তর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম, বিশিষ্ট চিকিৎসক জাতিসংঘে চাকুরীরত এমদাদুল হক মানিক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম খান, অভিভাবক প্রতিনিধি আল মামুন, লুধুয়া হাই স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন মতলবে বিএলএফ কমান্ডার আব্দুল খালেক, চাঁদপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ড. কাজী হাসেম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও প্রয়াত মন্ত্রীপুত্র আনিছ হক, মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন, মুন্সির হাট কলেজের অধ্যক্ষ এমএ মালেক, ইসলামবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে লিয়াকত হোসেন, আবুল কালাম, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাহিত্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক মিয়া মো. আসাদুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক অ্যাড. আক্তারুজ্জামানসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপানোর কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যবই প্রায় ১০ কোটি। বাকি ২৫ কোটি মাধ্যমিক ও অন্যান্য বিষয়ের বই রয়েছে।
২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই দেওয়া শুরু করে সরকার। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের উৎসব করে বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।
০২ জানুয়ারি, ২০২৩।