মতলব উত্তর থানা পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান

পুলিশ ও জনতা একসাথে আইন-শৃংখলা রক্ষা করবে

মতলব উত্তর ব্যুরো
মতলব উত্তর থানা বার্ষিক পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে থানার সার্বিক পরিস্থিতি ও বর্তমান অবস্থার খোঁজ-খবর নেন তিনি।
তিনি মতলব উত্তর থানা পরিদর্শন আসলে তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার হোসেন। এরপর গার্ড অব অনার প্রদান করেন এসআই রমিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা।
এসময় জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান বলেন, পুলিশ ও জনতা একসাথে আইন-শৃংখলা রক্ষা করবে। একটি থানাকে জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে এবং মাদক, ইভটিজিং ও বাল্যবিবাহমুক্ত সমাজ গড়ে তুলতে থানার পুলিশ এবং জনতা একসাথে কাজ করতে হবে। পুলিশের সাথে জনগণের দূরত্ব বাড়াতে হবে। পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। তাহলেই জনগণ পুলিশকে সাহায্য করবে। আমরা শান্তি চাই, বিশৃংখলা চাই না। জনগণের নাগালে সেবা এগিয়ে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। সমাজের একটি অংশের প্রতিনিধি হিসেবে পুলিশ সদস্যদের সবাইকে নিয়ে নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে হবে। আপনাদের সম্মানের আসন নিজেদেরই ধরে রাখতে হবে। জনবান্ধব পুলিশ হয়ে দায়িত্ব পালন করে থানায় গিয়ে কেউ যেন হয়রানির শিকার না হন সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান উপজেলার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ প্রদান করেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এআরএম জাহিদ হাসান, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সানোয়ার, এসআই হানিফ, এসআই রমিজ উদ্দিন প্রমুখ।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সারাদেশের বিভিন্ন নদীর কচুরিপানা জমাটের কারণে নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে এবং নৌ যান চলাচলে ব্যাহত হচ্ছে। ধনাগোদা নদীর শ্রীরায়েরচর থেকে কালীর বাজার পর্যন্ত কচুরিপানা নিরসনের জন্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় চিঠি লিখেছি, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে যোগাযোগ করেছি। বরাদ্দ পেলে পরিস্কার করা হবে, আর যদি না হয় স্থানীয় উদ্যোগে কচুরিপানা পরিষ্কার করা হবে।
তিনি অরো বলেন, নদী দখল করে কেউ যদি অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে তাহলে অবশ্যই আমরা উচ্ছেদ করে নদী দখলমুক্ত করবো।

২৭ ডিসেম্বর, ২০২২।