শিশু চক্ষু চিকিৎসা ও আরওপি বিষয়ে এনজিওদের অংশগ্রহণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সহায়তায় মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতাল চাঁদপুর-এ ‘স্টেনথিনিং কোয়ালিটি আই কেয়ার সার্ভিসেস ফর দি চিলড্রেন এন্ড নিউবর্নস ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের আওতায় শনিবার (১৯ জুন) ‘শিশু চক্ষু চিকিৎসা ও আরওপি সেবা’ শীর্ষক অবহিতকরণ কর্মশালা হাসপাতালের মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় হাসপাতালের চীফ কনসালটেন্ট ডা. মো. আনোয়ার হোসেন শেখের সভাপতিত্বে করোনা মহামরীকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চাঁদপুর জেলার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেছেন। প্রান্তিক পর্যায়ে চক্ষু চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধির লক্ষ্যে মাজহারুল হক বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের এবং অপরিণত নবজাতক শিশুদের চক্ষু চিকিৎসা সেবার বিষয়ে কর্মশালায় বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানে হাসপাতালের ম্যানেজার (এডমিনিস্ট্রেশন) শামীম খানের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন হাসপাতালের সিনিয়র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু জাফর।
তিনি হাসপাতালের সার্বিক কার্যক্রমের বিষয়ে সবাইকে জানান। তিনি বলেন, হাসপাতালটি অন্ধত্ব নিবারণে বিশেষ করে শিশু অন্ধত্ব নিরসনে বিশেষায়িত চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদানসহ এই অঞ্চলে বিনামূল্যে স্কুল সাইট টেস্টিং প্রোগ্রাম, ভ্রাম্যমাণ চক্ষু চিকিৎসা শিবির এবং প্রাথমিক চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র (স্থায়ী চক্ষু চিকিৎসা কেন্দ্র) স্থাপনসহ যেভাবে সেবার ধরন প্রসার করে আসছে। তার ফলে এই অঞ্চলে অন্ধত্বের হার শূন্যের কোটায় নেমে আসবে। কর্মশালায় সভাপতি কর্মশালার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ বাস্তবায়নে অংশগ্রহনকারীদের সহযোগীতা কামনা করেন এবং দাতা সংস্থা অরবিস ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও হাসপাতালের কার্যনির্বাহী পরিষদের সব সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধন্যবাদ জানান।
কর্মশালার দ্বিতীয় অধিবেশনে চোখের গঠন ও কাজ এবং চোখের বিভিন্ন রোগ এবং দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা ও চক্ষু স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণকারীদের ভূমিকা শীর্ষক মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন গ্রুপ ওয়ার্কের মাধ্যমে বিস্তারিত আলোচনা করেন হাসপাতালের কনসালটেন্ট ডা. মো. রাশেদুর রহমান তালুকদার এবং চোখের রোগ ও চিকিৎসা বিষয়ে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নোত্তর প্রদান করেন হাসপাতালের চীফ কনসালটেন্ট ডা. মো. আনোয়ার হোসেন শেখ।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক প্রশিক্ষণার্থীকে ব্যাগ, স্বাস্থ্য সহায়িকা, ফ্লীপ চার্ট, ভিশন চার্ট ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ উপকরণ প্রদান করা হয়েছে এবং ভিশন চার্ট ব্যবহারের মাধ্যমে দৃষ্টিত্রুটি সনাক্তকরণের বিষয়ে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় পর্যায়ের বেসরকারী উন্নয়ন সহযোগীদের মাধ্যমে হাসপাতালের কার্যক্রমসমূহ প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় এবং নিবারণযোগ্য অন্ধত্ব নিরসনে অংশীদারিত্বমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নের বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
২০ জুন, ২০২১।