মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবসে চাঁদপুরে আ.লীগের আলোচনা সভা

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন অপশক্তি সামনে দাঁড়াতে পারবে না
……..সুজিত রায় নন্দী

এস এম সোহেল
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী বলেছেন, যারা মুক্তিযুদ্ধে সৈনিক ছিল ও বঙ্গবন্ধুর অনুসারী ছিল তাদের চিহ্নিত করে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যা করার একটাই উদ্দেশ্য ছিল- পাকিস্তানী ভাব ধারনায় নিয়ে যাওয়া। এ নাটকীয় হত্যাকান্ডের নেতৃত্বে ছিল জেনারেল জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোস্তাক। নতুন প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে দেয়নি বিএনপি-জামায়াত জোট। আর শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে প্রজন্মের কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরেছেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন অপশক্তি সামনে দাঁড়াতে পারবে না।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হত্যা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের দিন ঢাকায় পুলিশকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল তা ছিল পাকবাহিনীর পুনরাবৃত্তি। সেদিন বহু সাংবাদিককে গুরুতর আহত করা। পুলিশ হাসপাতালে হামলাসহ প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা করে বিএনপি-জামায়াত জোট। সব অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান করতে হবে, এদের রুখে দিতে হবে।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল।
চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অ্যাড. জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সন্তোষ কুমার দাস, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন সরকার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অ্যাড. জসিম উদ্দিন মিঠু, সদস্য বেলায়েত হোসেন গাজী বিল্লাল, অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরন, জেলা যুবলীগের আহŸায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূঁইয়া, যুগ্ম আহŸায়ক সালাউদ্দিন মো. বাবর, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক দেওয়ান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহŸায়ক এসএম জয়নাল আবেদীন, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি গাজী পায়েল।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া ও মিলাদ অনুষ্ঠিত হয়।

০৮ নভেম্বর, ২০২৩।