শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন দপ্তরে ভাঙচুর ও সড়কে অগ্নিসংযোগ

শাহরাস্তি ব্যুরো
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ কর্মসূচির প্রমথ দিন শাহরাস্তি উপজেলায় ব্যাপক ঘটনা ঘটে। উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের বিভিন্ন দপ্তরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে একদল দুর্বৃত্ত। রোববার (৪ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের দোয়াভাঙ্গা এলাকায় শতশত আন্দোলনকারীরা অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে অগ্নিসংযোগ করে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় দূরপাল্লার সবধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে।
এদিকে সকালে একদল দুর্বৃত্ত কালিয়াপাড়া বাজারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান মিন্টুর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এতে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইস্কান্দার মির্জা সুমন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ জামাল হোসেনেকে কুপিয়ে আহত করে।
এছাড়া একদল দুর্বৃত্ত স্থানীয় হোসেনপুর বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা ডা. কামাল হোসেনের উপর হামলা ও তার ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান একটি ফার্মেসীতে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালায় হামলাকারীরা। এছাড়া হোসেনপুর গ্রামের ৩টি বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। দুপুরের দিকে একদল দুর্বৃত্ত শাহরাস্তি উপজেলা কমপ্লেক্সের ভিতর প্রবেশ করে (উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষ) অডিটোরিয়াম ভবন, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়, পরিবেশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তার অফিস, সমাজসেবা অফিস, হিসাবরক্ষণ অফিস, দারিদ্র্য বিমোচন অফিসের গ্লাসসহ বিভিন্ন অবকাঠামো ব্যাপক ভাঙচুর করে লুটপাট চালায়। এছাড়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে কাদা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা।
খবর পেয়ে শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ ইয়াসির আরাফাত, এএসপি (কচুয়া সার্কেল) রিজওয়ান সাঈদ জিকু, শাহরাস্তি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন দ্রুত শাহরাস্তি উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইয়াসির আরাফাত জানান, দুর্বৃত্তরা যেহেতু সরকারি দপ্তরে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে সেহেতু অভিযুক্তদের বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

০৫ আগস্ট, ২০২৪।