হাইমচর ব্যুরো
নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে হাইমচর উপজেলার কাটাখালী নদীর পাড় এলাকায় গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল বালুমহাল। একই সঙ্গে বিভিন্ন নৌযান থেকে বালু তীরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য নির্মাণ করা হয় জেটিও। এর ফলে চরম হুমকির মুখে চাঁদপুর সেচ প্রকল্পের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের অংশবিশেষ ও মেঘনা নদীর ভাঙন হতে সংরক্ষণ করা নদী তীর। ফাইলিং করে জেটি নির্মাণের কারণে জিওটেক্স ও সিসি ব্লগ ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয়দের মাঝে দেখা দিয়েছে ভাঙন আতংক।
জানা যায়, স্থানীয় এলাকাবাসী গতকাল রোববার গণস্বাক্ষরের মাধ্যমে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী বরাবর নদী রক্ষাবাঁধ রক্ষা করার প্রসঙ্গে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন। ঐ স্মারকলিপির অনুলিপিও চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ ও হাইমচর প্রেসক্লাবকে প্রেরণ করেন।
স্থানীয় শফিউল্লাহ তপদার জানান, কাটাখালী লঞ্চঘাটের পাশেই নদী ভাঙন নিয়ন্ত্রণ বাঁধের পাশে দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী জাকির হোসেন বাবলু নামে এক ব্যক্তি অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা করায় নদী রক্ষা বাঁধ ধসে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।
স্থানীয় আলমগীর হোসেন বলেন, মেঘনা নদী রক্ষাবাঁধের উপর কাটাখালী বাজারের উত্তর-পশ্চিম দিকে মদিনা ট্রেডার্স নামে মো. জাকির হোসেন বাবলুর একটি প্রতিষ্ঠান সরকারি বিধি নিষেধ অমান্য করে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে বালু উত্তোলন করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। ফলে সারাক্ষণ ঐ বালু থেকে পানি নিষ্কাশন হয়ে নদী রক্ষাবাঁধের উপর দিয়ে পানি মেঘনা নদীতে প্রবাহিত হয়ে থাকে। এ কারণে নদী রক্ষাবাঁধটি খুবই হুমকির সম্মুখীন। তাছাড়া যে কোন সময়ে নদী রক্ষাবাঁধটি ধসে যেয়ে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিতে পারে বলে এলাকাবাসী খুবই উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন অতিবাহিত করছে।
চাঁদপুর পানি উন্নায়ন বোর্ড হাইমচর উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইমাম হাসান বলেন, ইতোমধ্যে আমি বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। সেখানে আমি যাবো এবং বিষয়টি সম্পর্কে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবো।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা বলেন, আমার কাছে কাটাখালী নদীর পাড়ের স্থানীয় এলাকাবাসী এসেছেন এবং যারা মেঘনা নদী রক্ষাবাঁধের ক্ষতি করে বালু ব্যবসা করছেন তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
০৪ নভেম্বর, ২০২৪।