হুমকির মুখে নদী রক্ষা বাঁধ ও চরাঞ্চল
সাহেদ হোসেন দিপু
হাইমচরের মেঘনায় রাতে আঁধারে বালু উত্তোলন করার সংবাদ পাওয়া গেছে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাত ৮টার পর থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছে শরীয়তপুরের সুমন বেপারী ও সম্রাট নামক বালুখেকো সিন্ডিকেট। হাইমচর উপজেলার বারো তহবিল মাঝ নদীতে বালি উত্তোলন করে বিভিন্ন বলগেটে করে বালু বিক্রি করছে এ সিন্ডিকেট।
বালু উত্তোলনের বিষয়টি নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক লোক জানান, গত ৩ দিন যাবত নদী থেকে বালি উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করছে বালুখেকো সিন্ডিকেট। এ বালু উত্তোলনের ফলে নদী রক্ষাবাঁধ ও চরাঞ্চলগুলো চরম হুমকির সম্মুখীন হবে। কাঁচা টাকার লোভে কেউ যেন শুনেও না শুনার মতো রয়েছে। শনিবার সন্ধ্যা থেকে নদীতে বালি উত্তোলন করে বিক্রি করছে। যদি পারেন আপনাদের লেখনির মাধ্যমে কিছু একটা করেন, যাতে এ বালু উত্তোলন বন্ধ হয়।
তারা জানান, এ সিন্ডিকেটের সাথে সরাসরি জড়িত শরীয়তপুরের সুমন বেপারী ও সম্রাটসহ কতিপয় লোক। তারা চরের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে এ বালি উত্তোলন করছেন।
এ বিষয়ে হাইমচর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান এসহাক খোকনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বালু কাটার সংবাদ পেয়েছি তবে বরিশালের ভিতরে কাটে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম সফিক পাটোয়ারী জানান, হাইমচরের মেঘনায় বারো তহবিল নামক মাঝ নদীতে বালু উত্তোলনের খবর পেয়েছি। আমি সাথে সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। আমরা চাই হাইমচরের এক তিল মাটি যেন কোন সিন্ডিকেট না নিতে পারে। তবে এ বালু উত্তোলনের পিছনে শরীয়তপুরের একটি সিন্ডিকেট কাজ করছে জানতে পেরেছি। আমাদের মাটি রক্ষায় আমরা আমাদের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করবো।
নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কংকন কুমার বিশ্বাস জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বালু কাটার বিষয়টি সম্পর্কে জেনে জানাতে বলেছে। আমি এখনো নদীতে যাই না, আমি দেখি কোন সঠিক তথ্য পাই কিনা।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা জানান, আমি বালু কাটার বিষয়টি জানতে পেরে নীলকমল নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। হাইমচরের মেঘনায় বালু উত্তোলন বন্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব।
১১ জানুয়ারি, ২০২৫।