হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমআ’তুল বিদায় মুসল্লিদের ঢল

মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা

মোহাম্মদ হাবীব উল্যাহ্
জেলার সবচেয়ে বড় জামাতের মাধ্যমে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদে জুমআ’তুল বিদা’র নামাজ আদায় করেছেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। গত শুক্রবার (৫ এপ্রিল) উপজেলা ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লক্ষাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লি জুম’আতুল বিদা’র নামাজে অংশগ্রহণ করেন। নামাজ আদায় শেষে মুসলিম উম্মাহ এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করেন মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মুফতি আবদুর রউফ।
এর আগে প্রখর রোদ ও প্রচণ্ড তাপমাত্রা উপেক্ষা করে শুক্রবার জুমআ’তুল বিদআ উপলক্ষে আশপাশের জেলা, উপজেলা এবং দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লক্ষাধিক মুসল্লি এই মসজিদে নামাজ আদায় করতে আসেন। এদিন সকাল ১১টার মধ্যেই বিশাল মসজিদের প্রথম ও দ্বিতীয় তলায় কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
পরবর্তীতে মসজিদের মাঠ, আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ ও ভবন, জামেয়া আহমাদীয়া কওমী মাদ্রাসা ভবন, হাজীগঞ্জ টাওয়ার, রজনীগন্ধ্যা মার্কেট, হাজীগঞ্জ প্লাজা, বিজনেস পার্ক মকিম উদ্দিন শপিং সেন্টার, প্রাইম ব্যাংক ভবন, রয়েল রওশন সুপার মার্কেট, হাজীগঞ্জ পৌর সুপার মার্কেটের কানায় কানায় মুসল্লিরা নামাজের কাতারে দাঁড়িয়ে যান।
এরপর দুপুর ১টায় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের হাজীগঞ্জ বাজারস্থ স্টেশন রোডের সামনে থেকে শুরু করে পূর্ব বাজারস্থ বড় ব্রিজ পর্যন্ত (হাজীগঞ্জ বাজার সেতু) মুসল্লিদের নামাজের কাতার ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রখর রোদ উপেক্ষা করে মুসল্লিরা মসজিদ মাঠ ও মহাসড়কে নামাজ আদায় করেন। নামাজ চলাকালীন সময়ে কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে সবপ্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
নামাজ শেষে মুসলিম উম্মাহ, দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় সময় ‘আমিন, আমিন’ ধ্বনীতে আকাশ-বাতাস মুখরিত হয়ে উঠে পুরো মসজিদ এলাকা। একই সময়ে আল্লাহর দরবারে পানা’হ চেয়ে জুম’আতুল বিদা’র মোনাজাতে মুসল্লিদের কান্নায় আকাশ-বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
জুমআ’তুল বিদা’র জামায়াত প্রসঙ্গে হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের ভারপ্রাপ্ত মোতাওয়াল্লী প্রিন্স শাকিল আহমেদ বলেন, আলহামদুলিল্লাহ্, প্রখর রোদ উপেক্ষা করে বিশাল জামায়াতে নামাজ আদায় করেছি। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবছর ধর্মপ্রাণ মুসল্লির সংখ্যা বেড়েছে। আমরাও সাধ্যমত সেবা দেয়ার চেষ্টা করেছি।
তিনি আরো বলেন, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে নামাজ আদায়ে আমাদের হাজীগঞ্জ পৌরসভা, হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও স্থানীয় সংস্থাসমূহ, বাজারের ব্যবসায়ীরা পর্যাপ্ত সহযোগিতা প্রদান করেছেন। আমি তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং ভবিষ্যতেও তাদের এমন সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।

০৭ এপ্রিল, ২০২৪।