কচুয়ায় জলাবদ্ধতার কবলে ২ হাজার একর ফসলী জমি

বিপাকে কৃষকরা

কচুয়া ব্যুরো
কচুয়া উপজেলার ঘুরগার বিলের মাঝ দিয়ে সাচার হতে চান্দিনা উপজেলার কংগাই পর্যন্ত ক্ষিরাই নদীর (ছোট নদী) পাড় দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। অপরদিকে বিলের কচুয়া অংশে প্রায় মাঝামাঝি অবস্থানে ওই ক্ষিরাই নদীর সাথে সংযোগ ছিল রাগদৈল খাল। কিন্তু সংযোগস্থলের মুখে মাটি দ্বারা ভরাট করে রাস্তা নির্মাণ করায় এখন আর রাগদৈল খাল দিয়ে ঘুরগার জলার উত্তর-পশ্চিম অংশের পানি ক্ষিরাই নদীতে প্রবেশ করতে পারছে না। এতে করে ঘুরগার জলার উত্তর-পশ্চিম অংশে প্রায় ২ হাজার একর ফসলি জমি জলাবদ্ধতার কবলে।
জলাবদ্ধতার কবলে পড়া অংশে চলতি রবি মৌসুমে আলু, সরিষা, ফুলকপি, বাধাকপি, গাজর ও ভুট্টা ইত্যাদি ফসলের আবাদ করা সম্ভব হয়ে উঠবে না বলে কৃষকরা জানান।
কৃষক ও স্থানীয় লোকজনরা জানান, প্রায় ২ হাজার একর জমি থেকে পানি না নামায় ওই এলাকার কৃষকরা চাষাবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে রবি মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। ২ থেকে ৩ সপ্তাহের মধ্যে আলু চাষ শুরু হবে। কিন্তু ঘুরগার বিলের রাস্তার অপর অংশের জমির পানি নিষ্কাষণের ব্যবস্থা না থাকায় পানি নামতে পারছে না।
স্থানীয় কৃষক দুলাল মিয়া, আলমগীর দুদু মিয়া, শহীদ, বজলুর জানায়, ক্ষিরাই নদীর সাথে সংযুক্ত রাগদৈল খালের মুখে রাস্তা করায় পানি সরতে না পারায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ফসলী জমিগুলো অনাবাদী হয়ে পড়ে আছে। এ অবস্থায় রাগদৈল খালের মুখে একটি ব্রিজ নির্মাণ করলে রাগদৈল খালের ঐতিহ্য ফিরে পাবে। পাশাপাশি জলাবদ্ধতার হাত থেকে ২ হাজার একর ফসলি জমি আবাদ করা যাবে।
জলবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার খবর পেয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সোফায়েল হোসেন সরজমিনে গিয়ে পরিদর্শন করেন। তিনি জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হওয়ার বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসন করতে পারলে স্থানীয় কৃষকরা প্রায় ২ হাজার একর জমিতে চাষাবাদ করতে সক্ষম হবে। আমি বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছি। শীঘ্রই এই সমস্যাটি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হাসান বলেন, জলাবদ্ধতা সৃষ্টির কারণ অনুসন্ধান করে জলাবদ্ধতা দূরীকরণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

০৯ নভেম্বর, ২০২২।