কচুয়ায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে ২ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ রিপোর্টার
কচুয়ায় শিশুকন্যা জান্নাতুল নাঈম মিশুকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। এছাড়া প্রত্যেকের ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মো. আব্দুল হান্নান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন- কচুয়ার বড় হায়াতপুর গ্রামের মনির হোসেনের ছেলে নুরুল আলম নুরা ও ফরিদগঞ্জ উপজেলার গব্দেরগাঁও ইউনিয়নের আমির হোসেনের ছেলে মো. সজীব।
আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাড. মাসুম হোসেন ভূঁইয়া। বাদীপক্ষে ছিলেন অ্যাড. আব্দুল্লাহ আল মামুন ও অ্যাড. রিয়াদ হোসেন মুনতাসীর। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের আদালতের স্পেশাল পিপি অ্যাড. শামসুল ইসলাম মন্টু।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই দুপুরে বড় হায়াতপুর গ্রামের প্রবাসী মো. আবু হানিফের মেয়ে জান্নাতুন নাঈম মিশু বাড়ির পাশে ছাগলের জন্য ঘাস কাটতে যায়। সেখানে নুর আলম ও সজিব প্রথমে তাকে ধর্ষণ করে এবং পরে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা ফাতেমা বেগম ৩ অগাস্ট কচুয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে থানার এসআই মো. মকবুল হোসেন একই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শামসুল বলেন, মামলাটি ৪ বছর চলাকালীন অবস্থায় আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ ও নথিপত্র পর্যালোচনা করে আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।
এছাড়া আসামিদের ২০১/৩৪ ধারার অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ৭ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন বিচারক। আসামিদের উভয় সাজা একসঙ্গে চলবে থাকবে আদেশে বলা হয়।
মামলার বাদী ফাতেমা বেগম শেফালী বলেন, আমরা এ রায়ে সন্তুষ্ট নই। আমাদের শিশু মেয়েকে গণধর্ষণ করে হত্যা করেছে আসামিরা। আমরা আসামিদের ফাঁসি চাই। আমরা এজন্য উচ্চ আদালতে যাবো।

০৮ অক্টোবর, ২০২৪।